নাজিম আক্তার, চাঁচল, আপনজন: ফঁড়েদের দাপটে ধান বিক্রি করতে পারছেনা প্রকৃত কৃষকরা।এমনকি সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রতি কুইন্টাল প্রতি ৭ কেজি ধান ধলতা নেওয়ার অভিযোগ মিল মালিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়,আবেদন অনুসারে সঠিক পরিমাণে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকরা। সোমবার দুপুরের মালদহের চাঁচল-১ নং ব্লকের খরবা এলাকার কৃষকরা ধান ক্রয় কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান। জানা যায় শ্রীপতিপুর সমবায় সমিতির তত্ত্বাবধানে খরবায় ধান কেনা হচ্ছে। অতিরিক্ত ধলতা নেওয়ার অভিযোগে অনেকেই বাধ্য হয়ে ধান বাড়িতে ঘুরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত,প্রান্তিক কৃষকদের কথা মাথায় রেখে ও ধানচাষে উৎসাহ জোগাতে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করছে রাজ্য সরকার।নূন্যতম প্রতি কুইন্টাল ধানে ২০৪০ টাকা দিচ্ছে সরকার। এছাড়াও কুইন্টাল প্রতি অতিরিক্ত ২০ টাকা উৎসাহ মূল্যও দেওয়া হচ্ছে।কিন্তু সেই সমস্ত সুবিধার নাগাল পাচ্ছে না কৃষকরা ।২০ কিমি পথ অতিক্রম করে বিপুল অর্থ দিয়ে গাড়ি ভাড়া ক্রয় কেন্দ্রে এসে বিপাকে পড়ছেন তারা। সঠিক পরিমাণে ধান বিক্রির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান বঞ্চিত কৃষকরা। কাতলামারীর এক কৃষক আফজল হোসেনের অভিযোগ, আমাদের ধান নিতে ইচ্ছুক নই। মাত্র ৭ কুইন্টাল ধান নিবে বলা হচ্ছে।এদিকে চুপচাপ ফড়েঁদের থেকে অত্যাধিক পরিমাণ ধান ক্রয় করছে। যদিও শ্রীপতিপুর সমবায় সমিতির ম্যানেজার রেজাউল ইসলাম জানিয়েছেন,উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ যে পরিমাণে ধান নেওয়া কথা বলেছে,সেই পরিমাণ কেনা হচ্ছে।ধলতা নেওয়ার বিষয়ে মিল মালিক জানে। যদিও সুরাহার আশ্বাস দিয়েছেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন। তিনি বলেন, এমনটা হওয়ার কথা নয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct