সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: গুটি গুটি পায়ে ২৫ বছর পূর্ণ করে দল পা রাখল ২৬তম বছরে। সামনেই পঞ্চায়েতের নির্বাচন। তারপর বছর ঘুরলেই লোকসভার নির্বাচন ২০২৪ সালে। ঠিক তার আগে বাংলার বুকে এক নতুন দলীয় কর্মসূচি নিয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস যার নাম ‘দিদির রক্ষাকবচ’। সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে এদিন অর্থাৎ সোমবার নজরুল মঞ্চ থেকে দলের এই নতুন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দিদিকে বলো’র ধাঁচে এই কর্মসূচি হবে । এই কর্মসূচিতে তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক ও পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের দুয়ারে বসে শুনবেন তাঁদের অভাব-অভিযোগ, চাওয়া-পাওয়ার কথা। চাটাই পেতে হবে বৈঠক। সেই সঙ্গে গ্রামের মানুষের সঙ্গে একাসনে বসে চলবে দুপুরের মধ্যাহ্নভোজ। পাশাপাশি চায়ের দোকানে বসে মানুষের সঙ্গে কথা বলা সহ জনসংযোগের একাধিক ধাপ এই পর্যায়ে থাকছে বলে জানা গিয়েছে। টানা ২০ দিন ধরে চলবে এই কর্মসূচি।তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলায় তৃণমূলের যে সব বিধায়কেরা আছেন তাঁরা সকলেই নিজ নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে গিয়ে মানুষের অভাব অভিযোগ শুনবেন। যে সব বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক নেই সেই সব বিধানসভা কেন্দ্রে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে গ্রামীণ এলাকার মানুষেরা কে কতটা রাজ্য সরকারের আর্থসামাজিক প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারছেন, কে চেয়েও তা পাচ্ছেন না, কার আরও একটু বেশি সাহায্য চাই এইসব কিছুই এই কর্মসূচিতে খতিয়ে দেখা হবে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘দিদিকে বলো’ এবং ‘বাংলার গর্ব মমতা’ বলে দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মূলত এই দুটি কর্মসূচিকে হাতিয়ার করে জনসংযোগ করা হয়েছিল। যদিও সেই দুই কর্মসূচির ক্ষেত্রেই পিছনে কাজ করেছিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের মস্তিষ্ক। এবারেও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের হয়ে কারা কারা টিকিট পাবেন বা প্রার্থী হবেন সেই বিষয়টিও দেখভাল করছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। সম্ভবত জনসংযোগের এই নতুন কর্মসূচি ‘দিদির রক্ষাকবচ’ও আইপ্যাকেরই ব্রেন চাইল্ড ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct