রঙ্গিলা খাতুন, বহরমপুর, আপনজন: মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে ৪২তম মুর্শিদাবাদ জেলা বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠান বুধবার। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বরণ, উদ্ধোধনী সংগীত পরিবেশন এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে বইমেলা উদ্বোধন করা হয়। তবে বই মেলাকে ঘিরে রাজনৈতিক করন করার বিষয় প্রকৃত সাহিত্যকগণ মুর্শিদাবাদের ঐতিহ্যবাহী বইমেলা থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন। এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সাংসদ আবু তাহের খান, সাংসদ খলিলুর রহমান, বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী ও বইমেলা কমিটির সদস্যা শ্রীমতি শাওনী সিংহ, জেলা ডি আই জি রশিদ মুনির খান, পুলিশ সুপার সুরন্দির সিং, ভগবানগোলা বিধানসভার বিধায়ক ইদ্রিস আলী, সভাপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাস, বইমেলা কমিটির সদস্য ও বিধায়ক শৌমিক হোসেন প্রমুখ্য। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবির, বিধায়ক শ্রী আশিষ মার্জিত, বিধায়ক ইমানী বিশ্বাস, সোহরাব আলী, প্রমুখ। জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, বইমেলার এবং বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। বই পড়ার অভ্যাস সবার থাকা উচিত। বই পড়লে জ্ঞান হয়,বই এর মাধ্যমে বিশ্বকে অনেক নিকটে পাওয়া যায়। রাজ্যের মন্ত্রী সিদিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় শিক্ষার প্রসার বেড়েছে, তিনি আরও বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই জেলার নিরক্ষরতা দূর করা হবে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ছিলেন একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক। তিনি আরও বলেন মৌলানা আজাদ সাড়ে নয় বছর, ভারতকে স্বাধীন করতে জেল খেটেছেন, ষোলো বছর বয়সে আল হিলাল পত্রিকা বের করেন। বইমেলার গুরুত্ব হল বই কিনে শিক্ষা লাভ করা। প্রতিবদ্ধীদের পড়ার জন্য আমাদের রাজ্য সরকার ব্যাপক ব্যাবস্হা করেছেন। তবে বই মেলার একাংশ মতে এখানে রাজনৈতিক করন করা হচ্ছে প্রকৃত, কবি সাহিত্যিকদের গুরুত্ব না দিয়ে রাজনৈতিক নেতারা এসে বই মেলার ঐতিহ্য নষ্ট করছেন। এই বিষয়ে কয়েকজন কবি লেখক দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct