রাজু আনসারী, অরঙ্গাবাদ, আপনজন: ড্রাফটিং ট্রান্সফার হওয়া শিক্ষক রেজাউল করিমকে পুনরায় আগের স্কুল ফিরিয়ে আনার দাবিতে স্কুল শিক্ষা দফতরের দ্বারস্থ হলেন শামসেরগঞ্জের কাঞ্চনতলার গ্রামবাসী ও অভিভাবকরা। গাজিনগর বয়েজ স্কুল থেকে শিক্ষক রেজাউল করিমকে ট্রান্সফার না করার আবেদন জানিয়ে বুধবার শতাধিক গ্রামবাসীর স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন ধূলিয়ান অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক হোসনেয়ারা খাতুনকে। আর যা ঘিরেই ফের একবার শোরগোল পড়েছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে। স্মারকলিপি গ্রহণ করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন স্কুল ইন্সপেক্টর। উল্লেখ্য, আট মাস আগে সামসেরগঞ্জের কাঞ্চনতলা কামাত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিমকে ড্রাফটিং ট্রান্সফার করে গাজিনগর বয়েজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। আর যা ঘিরে সম্প্রতি বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কাঞ্চনতলা কামাত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ট্রান্সফারের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে অভিযোগ করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু বারকাত শাহ আলম। ওই শিক্ষক কেন স্কুলে আসছেন না তা নিয়ে স্কুল গেটে তালা বন্ধ করে বিক্ষোভও দেখান এলাকাবাসীরা। যদিও ওই শিক্ষককে ড্রাফটিং ট্রান্সফার করা হয়েছে বলে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন স্কুল দফতরের এসআই হোসনেয়ারা খাতুন। কিন্তু সম্প্রতি কাঞ্চনতলা কামাত স্কুলে বিক্ষোভ হওয়ায় গাজিনগর বয়েজ স্কুল থেকে রেজাউল করিম নামে ওই শিক্ষককে হয়তো আবারও ট্রান্সফার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আগেভাবেই কার্যত নড়েচড়ে বসেছেন অভিভাবকরা। বুধবার অভিভাবকদের স্বাক্ষর নিয়ে এসআই দফতরে আসেন গাজিনগরের বাসিন্দারা। তাদের দাবি, চার শতাধিক ছাত্রছাত্রী থাকলেও গাজিনগর বয়েজ স্কুলে মাত্র দুজন শিক্ষক রয়েছেন। রেজাউল করিম মাস্টারকে নিয়ে তিনজন শিক্ষক হওয়ায় কিছুটা হলেও সুবিধা হচ্ছিল ছাত্রছাত্রীদের। কিন্তু আবারও তাকে ট্রান্সফার করলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনা শিকেয় উঠবে। তাই কোনোভাবেই যেন রেজাউল করিম মাস্টারকে ট্রান্সফার না করা হয় তারই দাবি নিয়েই স্মারকলিপি প্রদান করা হয় ধূলিয়ান চক্রের এসআই হোসনেয়ারা খাতুনকে। এবিষয়ে ধুলিয়ান চক্রের এসআই হোসনেয়ারা খাতুন জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct