সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: বছর শেষ হতে বাকি আর হাতে গোনা কয়েকটা মাত্র দিন। তারপরেই চলে আসবে ২০২৩ সাল। সেই বছরেই বাংলার বুকে শুধু যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে তাই নয়, ঠিক তার ১ বছরের মাথাতেই দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে লোকসভার নির্বাচন। এই অবস্থায় বাংলার তরুণ সমাজকে সুখবর শোনাল রাজ্যের ক্ষুদ্রশিল্প নিগম। তাদের দাবি, ব্যক্তি মালিকানার জমিতে শিল্পতালুক গড়তে চেয়ে ইতিমধ্যে ৪৫টি আবেদন এসেছে ক্ষুদ্রশিল্প নিগমের কাছে। এর মধ্যে ১৪টি চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে। ১৭টি আবেদনের ক্ষেত্রে মিলেছে প্রাথমিক ছাড়পত্র। সেই সঙ্গে তাঁরা এটাও জানিয়েছেন, বাংলার ৪৫টি শিল্পতালুকে আগামী বছরে খুব কম করেও অন্তত ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হতে চলেছে যা প্রায় ১২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করে দেবে। স্বাভাবিক ভাবেই এই তথ্য রাজ্যের শাসক দলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কেননা তাঁদেরকেও তো তরুণ প্রজন্মের সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ছবি তুলে ধরে তাঁদের ভোট চাইতে হবে। তা সে পঞ্চায়েত হোক কী লোকসভার নির্বাচন।রাজ্যের ক্ষুদ্রশিল্প নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলায় শিল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে রাজ্য সরকার বছর দেড়েক আগে সিদ্ধান্ত নেয়, ব্যক্তিগত মালিকানায় মাত্র ৫ একর জামি থাকলে সেখানেই শিল্পতালুক গড়া যাবে। শুধু তাই নয়, কেউ এই ধরনের শিল্পতালুক গড়তে চাইলে তাঁকে স্টেট এইডেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক বা এসএআইপি’র ইনসেনটিভ স্কিমের মাধ্যমে বিশেষ অনুদান সহ বিদ্যুৎ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। সেই সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের দরুণ এবার সাফল্য মিলতে শুরু করেছে বলে দাবি রাজ্যের ক্ষুদ্রশিল্প নিগমের আধিকারিকদের। তাঁদের দাবি, ব্যক্তি মালিকানার জমিতে শিল্পতালুক গড়তে চেয়ে ইতিমধ্যে ৪৫টি আবেদন এসেছে ক্ষুদ্রশিল্প নিগমের কাছে। এর মধ্যে ১৪টি চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে। ১৭টি আবেদনের ক্ষেত্রে মিলেছে প্রাথমিক ছাড়পত্র। এখনও পর্যন্ত ইনসেনটিভ স্কিমে অনুদান পেয়েছে তিনটি শিল্পতালুক। সেই সঙ্গে রাজ্যের ৪৫টি শিল্পতালুকে অন্তত ১০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হতে চলেছে আগামী বছরে যা খুব কম করেও প্রায় ১২ হাজার মানুষের কাজের সুযোগ করে দেবে। পাশপাশি রাজ্য সরকারের জমিতেও বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে আরও ১০০টি শিল্পতালুক গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তদারকিতে ক্ষুদ্রশিল্প দফতর।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct