রঙ্গিলা খাতুন, সালার, আপনজন: নজর এড়িয়ে যাওয়া কৈগরিয়া গ্রামের মানুষেরা সাহায্যের অপেক্ষায়, ন্যূনতম সুবিধা থেকে বঞ্চিত ওরা। রাস্তা খারাপের জন্য বিয়ে হচ্ছে না অনেক পরিবারেরই ছেলেমেয়েদের। আর কিছুদিনের মধ্যে জারি হবে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট। সারাদিন বইবে প্রতিশ্রুতির জোয়ার। কিন্তু কৈগড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা পাননি ভালো রাস্তাঘাট আলো জলের সামান্যতম সুবিধা। ভরতপুর দুই ব্লকের সালার থানার অন্তর্গত টিয়া অঞ্চলের কৈগড়িয়া গ্রাম। যার প্রচলিত নাম কৈ গ্রাম। সেখানে উন্নয়নের লেসমাত্র ছোঁয়া নেই। না আছে রাস্তাঘাট না আছে কোন পানীয় জলের সুব্যবস্থা। যাতায়াতের জন্য সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল নৌকার উপর।কারণ সেখানে নেই রাস্তা। নৌকা করেই করতে হয় সব কাজ যেন ওটাই প্রধান যানবাহন ওখানকার।
গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করতে গেলে বা গ্রাম থেকে বেড়াতে গেলে একমাত্র ভরসা নৌকা কারণ গ্রামের চারিদিকে রয়েছে নদী। বহুবারি নদীতে ভেসে গেছে বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ টি পরিবারের বাস। সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এবং বহুবারই নদীতে তলিয়ে যাওয়াই অনেকেই হয়েছেন গ্রামছাড়া।এলাকাবাসীদের বক্তব্য প্রধান চলাচলের মাধ্যম জলপথ। হাসপাতাল স্কুল বাজার সবক্ষেত্রে যাওয়ার মাধ্যম নৌকো। এমনকি গ্রামের ছেলে মেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়। যে রাস্তাটি আছে তাতে গাড়ি যাওয়া বিপদজনক। স্থানীয় এক সরকারি স্কুলের শিক্ষক জানান স্কুলে কেবল ৩৫ জন পড়ুয়া। স্থানীয় প্রধানকে অনেকবার বলার পর স্কুলের সামনের মাটির রাস্তাটা একটু ঢালাই করে দিয়েছেন। যাতায়াতে সমস্যা সন্ধ্যে নামলেই পারাপার হওয়াটা বিপদজনক হয়ে যায়। তবে ভরতপুর দুই ব্লকের বিডিও আশিস মণ্ডল জানান আবাস যোজনার ঘর পেয়েছেন কয়েকজন রাস্তার কাজ শুরু হবে। প্রত্যন্ত এলাকা তবে সেই গ্রামের মানুষ সরকারি সুযোগ-সুবিধা আদেও কবে পাবেন সেটা এখন দেখার।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct