নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, আপনজন: এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরে।কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআইয়ের করা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার গতি এলো । বিভিন্ন স্কুলে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ হওয়া ১৬৯৮ জনকে এবার নোটিস ধরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিল শিক্ষা দফতর। ২৩ ডিসেম্বর শিক্ষা দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকাটি জারি করেছেন শিক্ষা দফতরের কমিশনার শুভ্র চক্রবর্তী।জেলা পরিদর্শক মারফত ১৬৯৪ জন শিক্ষাকর্মীকে নোটিস রাজ্য সরকারের। হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষাকর্মীদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এই সব প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে কি বাতিলের পথে এই সকল প্রার্থীর নিয়োগ? এই বিষয়টি এখন সম্পূর্ণ ভাবেই আদালতের উপর নির্ভরশীল বলে জানা গেছে ।তবে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে এই মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু এই দুর্নীতির জেরে ছাত্রদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। সেই প্রেক্ষাপটে ২০১৮ সালে রাজ্যজুড়ে নিয়োগপত্র পাওয়া ১,৬৯৪ জন শিক্ষাকর্মী আগামী দিনে চাকরি করতে পারবেন কিনা? তা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্নচিহ্ন। বেআইনি ভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এএফলে ২০১৮ সালে নিয়োগ পাওয়া এই শিক্ষাকর্মীদের নিয়োগ এবার বাতিলের পথে বলেই মনে করা হচ্ছে। ওই বছর এপ্রিল মাসে তাঁরা নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন। বর্তমানে বিভিন্ন স্কুলে তাঁরা চাকরি করছেন। তাদের চাকরির সুপারিশ করেছিল স্কুল সার্ভিস করমিশন। তাঁদের মেমো নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে। এই নিয়োগ দিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।নির্দেশিকাটি পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর (ডিআই)-দের। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তে চিহ্নিত ১৬৯৮ জন গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ হওয়া ব্যক্তিকে নোটিস ধরাতে হবে। সেই নোটিসের সঙ্গে আদালতের রায়টিও যুক্ত করে দিতে বলা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নিযুক্ত ১৬৯৮ জনের নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম ধরা পড়েছে বলেই অভিযোগ।নির্দেশিকাটির সঙ্গে ১৬৯৮ জনের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা কোন কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন তা-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই প্রত্যেক ডিআইকে তাঁদের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। স্কুলে নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশেই তদন্ত করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যে রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছে, তাতে গ্রুপ ডি পদে চাকরি পাওয়া ১৬৯৮ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক গড়মিল রয়েছে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ওই চাকরিপ্রার্থীদের নোটিস ধরাতে আদালত নির্দেশ দেয় শিক্ষা দফতরকে। আর সেই নির্দেশ কার্যকর করতেই এই নোটিস দিতে বলেছেন শিক্ষা দফতরের কমিশনার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct