নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, আপনজন: বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিনে কোভিড বিস্ফোরণ হতে চলেছে। বাস্তবেও সেই ছবি ধরা পড়ছে। শুধু যে চিন তাও নয়, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশেও কোভিডের বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়ছে। স্বাভাবিক ভাবেই ভারতীয় উপমহাদেশেও উদ্বেগ বাড়ছে কোভিডকে ঘিরে। ঘটনাচক্রে সোমবার সকালেই সামনে এসেছে বাংলার বুকে ভিন দেশ থেকে এসেছিলেন ৪জন পর্যটক যাদের দেহে কোভিডের জীবানু ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে ৩জন এসেছিলেন মায়ানমার থেকে ও ১জন ইংল্যান্ড থেকে। এই ৪জনই কলকাতা থেকে বুদ্ধগয়ায় গিয়েছেন একই বিমানে চড়ে। সেই ৪ পর্যটককে দ্রুত খুঁজে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু চিন্তা বাড়িয়েছে এই ৪জনের মাধ্যমে বাংলায় নতুন করে কোভিড ছড়িয়ে পড়বে কিনা। যদিও বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, চিনের মতো দশা ভারতের হবে না। কিন্তু যদি হয় তখন কী হবে! তাই অনেকেই বুস্টার ডোজের সন্ধান শুরু করেছেন। আর তার জেরেই সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাংলার ভাঁড়ারে নাকি মাত্র ২৮০টা কোভিশিল্ড পড়ে আছে।কোভিডের বাড়বাড়ন্তের ছবি সামনে আসতেই রাজ্যজুড়ে কার্যত তীব্র উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই এখন বুস্টার ডোজ নিয়ে নিজেদের তৈরি করে নিতা চাইছেন কোভিডের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য। তার জেরে বুস্টার ডোজের চাহিদা বেড়েছে। আর তখনই কিনা জানা গেল রাজ্যের ভাঁড়ারে কোভিশিল্ড পড়ে আছে মাত্র ২৮০ খানা। বাগবাজারের সেন্ট্রাল স্টোরেও কোভিশিল্ড নেই। সেন্ট্রাল স্টোরে নেই করবিভ্যাক্সও। নেই রাজ্যের কাছেও। তবে আছে কোভ্যাক্সিন। প্রায় ৪৬০০০টি কোভ্যাক্সিন রয়েছে রাজ্যের কাছে। কিন্তু প্রশ্নটা অন্য জায়গায়। রাজ্যের একটা বড় সংখ্যার মানুষই কোভিশিল্ড টিকা নিয়েছিলেন। তাই তাঁরাই যখন বুস্টার ডোজের সন্ধান করছেন, তখন কোভিশিল্ডই নিতে চাইছেন। আর তাই রাতারাতি এই ভ্যাক্সিনের চাহিদা উর্ধ্বমুখী হয়েছে। কিন্তু গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে যোগানের অভাব। বাংলায় কবে কোভিশিল্ড আসবে তা নিয়ে কোনও পরিষ্কার দিশা নেই রাজ্য সরকারের কাছে। তথ্য মিলছে না কেন্দ্রের তরফেও। কেননা নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বাংলার তরফে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর তরফে এই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। কিন্তু জবাব মেলেনি। স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে বাংলায়।এদিকে নেজাল ভ্যাকসিনের অনুমোদন মিললেও রাজ্য সরকার, রাজ্যের মানুষের জন্য সেই টিকা নিজেরাই কিনবে কিনা সে বিষয়েও এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গিয়েছে। ফলে, বুস্টার ডোজ নিয়ে সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। অন্য দিকে রাজ্যকে যদি এই ভ্যাকসিন কিনতে হয় তাহলে রাজ্য এই ন্যাজাল ভ্যাকসিন কিনবে নাকি তাঁর বদলে তাঁরা কোভ্যাক্সিন অথবা কোরবিভ্যাক্স কিনবে তা এখনও জানা যায়নি। বিভিন্ন গাইডলাইনে যখন বার বার বুস্টার ডোজ নিতে বলা হচ্ছে সেই সময় চাইলেও পাওয়া যাচ্ছে না ডোজ। কোনও ভ্যাকসিনই কোন পথে রাজ্যে আসবে সেই বিষয়ে এখনও কোন সুস্পষ্ট নির্দেশিকা নেই রাজ্যের কাছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct