নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, আপনজন: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা বিষয়ক মামলার শুনানি চলে। এদিন নির্ধারিত অনাস্থায় কোন হস্তক্ষেপ গ্রহণ করেনি আদালত, অর্থাৎ স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত । এদিন হামরো পার্টির চেয়ারম্যান রীতেশ পোর্টেলের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চের নির্দেশের পর দার্জিলিং পুরসভায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না।গত ২৪ নভেম্বর চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে (গোর্খা প্রজাতন্ত্রিক মোর্চা) ছ'জন কাউন্সিলর মিটিং ডাকার জন্য নোটিস দেয়। নিয়ম অনুযায়ী , এই ধরনের চিঠির পর ১৫ দিনের মধ্যে বৈঠক ডাকতে হয়। কিন্তু তা না হওয়ায় ১৩ ডিসেম্বর ভাইস চেয়ারম্যানকে ফের জানানো হয়।তাতেও কাজ হয়নি। এরপর তিনজন কাউন্সিলর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার জন্য ২৮ ডিসেম্বর বৈঠক ডাকে। এর বিরুদ্ধে অবসারকালীন বেঞ্চে আবেদন করেন হামরো পার্টির চেয়ারম্যান রীতেশ পোর্টেল ও ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াঞ্জি শেরপা।এদিন বিচারপতি কৌশক চন্দ জানিয়ে দেন, -' ১৯৯৫ সালের পুর আইন অনুযায়ী অনাস্থা আনা হয়েছে'। প্রথম চিঠি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান কেন মিটিং ডাকেননি সেই প্রশ্নও তুলেছে হাইকোর্ট।মুকুন্দ রাজ বারেলি-সহ চারজন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার কাউন্সিলর আদালতে আসেন। ৩২ আসন বিশিষ্ট দার্জিলিং পুরসভার এক কাউন্সিলর ২০১৭ সালে গন্ডগোল শুরুর পরপরই ইস্তফা দিয়েছিলেন। পরে পুরসভা টি বিনয় তামাংপন্থীদের দখলে আসে। এখন ১৭ জন কাউন্সিলর নিজেদের বিমলপন্থী বলে দাবি করছেন। এর ফলে পুরসভা হাতবদল হওয়ার সম্ভাবনা জোরাল হয়েছে। প্রথম বার নির্বাচনে লড়েই দার্জিলিং পুরসভা দখল করে চমকে দিয়েছিল অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। তবে দলের মধ্যে ফাটল ধরায় আপাতত তাদের হাত থেকে পুরসভা হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা। এ দিন কলকাতা হাইকোর্টও জানিয়ে দিল, আগামী ২৮ ডিসেম্বরই দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা ভোট হবে।আগামীকালের পাহাড়ের রাজনীতি কোন জায়গায় দাঁড়ায়,তার দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।