আপনজন ডেস্ক: আমন্ড বাদাম, চিনাবাদাম, কাজু বাদাম, আখরোট বাদাম ও পেস্তা বাদাম- এদের কোনোটাকে অস্বাস্থ্যকর বলা যাবে না, এরা প্রত্যেকেই স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হতে পারে। এসব বাদাম হচ্ছে ফ্যাট, ফাইবার ও প্রোটিনের ভালো উৎস। এর পাশাপাশি এসব খাবারে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলও রয়েছে। যে কারণে ডায়েটে পেস্তা রাখতে বলে থাকেন পুষ্টিবিদরা। জেনে নিন পেস্তার কিছু স্বাস্থ্যগুণ।
> পেস্তার মধ্যে থাকে দুটি প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পলিফেনল ও টোকোফেরল। অন্যান্য বাদামের তুলনায় পেস্তায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রা বেশি থাকায় দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতেও উপকারি পেস্তা।
> পেস্তায় ক্যালোরির পরিমাণ যেমন কম, তেমনই এই বাদাম হাই-প্রোটিন সমৃদ্ধ। অন্যান্য বাদামের তুলনায় পেস্তায় অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি।
> এনার্জি জোগানোর পাশাপাশি যে কোনো বাদাম ওজন বশে রাখতেও সাহায্য করে। পেস্তারও রয়েছে এই গুণ।
> পেস্তা খাদ্যনালীতে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে পেট পরিষ্কার থাকে।
> রোজ ডায়েটে পেস্তা থাকলে তা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পেস্তা রক্তে এইচডিএল বা গুড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে ও এলডিএল বা ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
> পেস্তা রক্তনালীর এন্ডোথেলিয়ামের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই এন্ডোথেলিয়াম ভ্যাসোডাইলেশন অর্থাত্ রক্তনালীর সংকোচন, প্রসারণের জন্য দায়ী।
> পেস্তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রতি দিন ৫৬ গ্রাম পেস্তা খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা ২০-৩০ শতাংশ কম করতে সাহায্য করে।
> খেতে অসাধারণ। তাই পেস্তা মন ভাল করে। স্যালাডে গার্নিশ করে, স্মুদি বানিয়ে বা পেস্তা আইসক্রিম খেলে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মুডও ভালো হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct