আপনজন ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) তার সর্বশেষ রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, প্রাথমিকভাবে অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) তৈরিতে ব্যাপক সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে প্রকল্পটির ব্যয় ২৮৮.১৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৬০২.৬৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালের সিএজির রিপোর্ট শনিবার অসম বিধানসভায় জমা দেওয়া হয়। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে এনআরসি আপডেট করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য সফটওয়্যারের প্রয়োজন ছিল।
ক্যাগের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘এ বিষয়ে সঠিক পরিকল্পনার অভাবে যে ২১৫টি সফটওয়্যারকে যুক্ত করা তাতে মূল সফটওয়্যার ছিল একেবারেই অগোছাল। একটি জাতীয় দরপত্রের পরে যোগ্যতা মূল্যায়নের মাধ্যমে সফটওয়্যার ডেভলপার বা বিক্রেতাদের নির্বাচনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই এটি করা হয়েছিল। সিএজি রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এনআরসি ডেটা ক্যাপচার এবং সংশোধনের জন্য সফটওয়্যার অবিন্যস্তভাবে ব্যবহার হওয়ায় তথ্য বিকৃতির ঝুঁকি তৈরি করেছে কোনও তথ্য যাচাই ছাড়া। তথ্য যাচাই হলে এনআরসি তথ্যের সত্যতার জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারত। সুতরাং, একটি বৈধ ত্রুটি-মুক্ত এনআরসি প্রস্তুত করার উদ্দেশ্য এখনও পূরণ হয়নি। এনআরসি-র প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটর হিতেশ দেব শর্মা তার পূর্বসূরি প্রতীক হাজেলার দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ করে রাজ্য সরকারের ভিজিল্যান্স ও দুর্নীতি দমন শাখায় একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন। এনআরসি অবৈধ অভিবাসীদের অপসারণের একটি অনুশীলন। খসড়া তালিকাটি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত হয়েছিল, তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য পর্যাপ্ত নথির অভাবের জন্য ৩.৩০ কোটি আবেদনের মধ্যে ১৯.০৬ লক্ষকে বাদ দেয় যাদের সিংহভাগই বাঙালি। এনআরসিতে যারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct