এহসানুল হক, বসিরহাট, আপনজন: এবার বসিরহাটের ছেলে সৈয়দ মনোয়ার আলি ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডে নাম তুললেন। পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ড এবং এশিয়ান বুক অফ রেকর্ডে নাম উঠেছে তার। কারণ কয়েকদিন আগেই তিনি আধার কার্ডে জমির খতিয়ান নম্বর, জেএল নম্বর, মৌজা ব্যবহার করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি পাসপোর্টে পুরনো ঠিকানা রেখেছিলেন। সেই কারণেই ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডে নাম উঠেছে তার। বসিরহাটে এই সর্বপ্রথম ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডে নাম। বসিরহাট ১০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত আস্তানা রোডে বাড়ি সৈয়দ মনোয়ার আলির। পেশায় তিনি বসিরহাট শাহী মসজিদের সাধারণ খাদেম। নয় বছর ধরে মসজিদের খাদেম হিসেবে কাজ করছেন। মসজিদের তরফ থেকে অল্প কিছু মজুরি পান তিনি। চারজনের সংসার চলেই এই টাকা দিয়েই। সৈয়দ মনোয়ার আলি , বলেন, আমি কয়েকদিন আগে আধার কার্ড এবং পাসপোর্টে জমির তথ্য মৌজা এবং জেল নম্বর দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম। আমার আবেদনে সাড়া দিয়ে সেইসব তথ্য আধার কার্ড এবং পাসপোর্টে অ্যাকটিভ করা হয়েছে এবং পুরানো ঠিকানা ব্যবহার করেছি। যার জন্য আমি ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডে নাম তুলতে সক্ষম হয়েছি। অন্যদিকে এলাকার কাউন্সিলর এবং বসিরহাট পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুবীর সরকার বলেন, আমি শুনছি বসিরহাটের ছেলে ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডে নাম তুলেছে। আমরা আনন্দিত বসিরহাটের নাম উজ্জ্বল করল সে। আমার পৌরসভার পক্ষ থেকে তাকে সাধুবাদ জানাই। গুগল থেকে যেটা জানা যায়, প্রাচীনতম আবাসিক ঠিকানা প্রাচীনতম আবাসিক ঠিকানা থাকার রেকর্ডটি উত্তর ২৪ পরগণার সৈয়দ মনোয়ার আলি (জন্ম ২৩ ডিসেম্বর, ১৯৭২) দ্বারা সেট করা হয়েছিল। ঠিকানায় জেএল নম্বর ও মৌজা আছে এমন বাড়িতে তিনি থাকেন। মৌজা ছিল একটি গ্রামের সমতুল্য মুঘল আমলে রাজস্ব আদায়ের ক্ষুদ্রতম একক। দাবিটি পাসপোর্ট এবং আধার কার্ডের মাধ্যমে যাচাই করা হয়েছিল। এই কারণেই তার নাম ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ড এবং ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডে নাম উঠেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct