আপনজন ডেস্ক: এমন রসিকতা প্রচলিত আছে যে, ডাক্তারদের হাতের লেখা যিনি ভালোভাবে বুঝতে পারেন তিনিই “প্রকৃত শিক্ষিত”। অনেক ডিগ্রিধারী ব্যক্তিও এই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে থাকেন সেই অভিজ্ঞতা নিশ্চয় অনেকের আছে। বলা হয়ে থাকে চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন লেখার সময় ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ফলে তাড়াহুড়ো করে লিখতে গিয়ে তাদের লেখার পাঠোদ্ধারের জন্য রোগীকে রীতিমতো লড়াই চালিয়ে যেতে হয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কাজ করেও সফল হয়নি। এবার ডাক্তারদের হাতের “দুর্বোধ্য লেখা”র অনুবাদের চেষ্টায় নামছে টেক জায়ান্ট গুগল। ভারতে আয়োজিত গুগলের বার্ষিক সম্মেলনে তারা ঘোষণা দেয়, ডাক্তারদের হাতের লেখা বুঝতে তারা ফার্মাসিস্টদের সঙ্গে কাজ চলছে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। ফিচারটির আত্মপ্রকাশ ঘটবে গুগল লেন্সে। এর মাধ্যমে প্রেসক্রিপশনের ছবি তোলার পাশাপাশি ফটো লাইব্রেরি থেকেও ছবি আপলোডের সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারী। ছবিটি প্রসেস করার পর প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করা বিভিন্ন ঔষধের নাম শনাক্ত করবে অ্যাপটি। এর একটি নমুনাও দেখিয়েছেন গুগলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। নতুন ফিচারটি কবে নাগাদ সবার জন্য উন্মোচনের পরিকল্পনা রয়েছে, তা নিয়ে কিছু জানায়নি এই প্রযুক্তি জায়ান্ট। দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে কোম্পানির বার্ষিক আয়োজনটি “গুগল ফর ইন্ডিয়া” নামে পরিচিত, যেখানে বেশ কিছু নতুন উদ্ভাবন দেখানোর রেওয়াজ আছে।প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, গুগল বলেছে, তারা একটি একক সমন্বিত মডেল নিয়ে কাজ করছে, যেখানে “স্পিচ” ও “টেক্সট” উভয় আকারেই মিলবে ভারতের একশোরও বেশি ভাষা। ফলে, পরবর্তীতে দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে শত কোটি ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট যাত্রা শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৫০ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী থাকা দেশ ভারত গুগলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বাজার। তবে, বেশ কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ এশিয়ার বাজার বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে, কোম্পানিটির বিরুদ্ধে দুইবার শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতের অ্যান্টিট্রাস্ট নিয়ন্ত্রকরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct