এম মেহেদী সানি, বারাসত, আপনজন: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতের কাজীপাড়ার শেখ সাবির আলি ওরফে হিরু নামে এক প্রতিবাদী যুবকের দমদম সেন্ট্রাল জেলে মৃত্যু ঘিরে গভীর শোকের ছায়া এলাকায়৷ শোকস্তব্ধ পরিবারের পাশে দাঁড়াতে, মৃত শেখ সাবির আলি ওরফে হিরুর বাড়ি উপস্থিত হলেন এপিডিআর, সিপিডিআর, ‘ইউনাইটেড সোশ্যাল ফাউন্ডেশন’ সহ একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন৷ মৃত শেখ সাবির আলির নবম শ্রেণীতে পাঠরত একটি কন্যা এবং একটি পুত্র সন্তান, যার বয়স চার মাস৷ সাবির আলির পিতা শেখ জাবেদ আলি আক্ষেপের সুরে বলেন ‘ছোট্ট শিশুটিকে তার পিতার স্পর্শ পেতে দিল না।’ জেল হেফাজতে থাকাকালীন বিচারাধীন বন্দীর মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্তের দাবীতে এবং মৃত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ‘ইউনাইটেড সোশ্যাল ফাউন্ডেশন’-এর এক প্রতিনিধি দল মৃত শেখ সাবির আলির বাড়িতে উপস্থিত হয়। এদিনের এই প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী সাবির এস গফফার, সংগঠনের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রাজু, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কাজী তৈয়েবুল্লাহ, শেরিফ আহমেদ, ফারুক আলী, মিজানুল হক প্রমুখ। উল্লেখ্য সম্প্রতি দমদম সেন্ট্রাল জেলে শেখ সাবির আলি ওরফে হিরু নামে এক যুবকের মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের কাজীপাড়া এলাকার মানুষ। জানা গেছে, কাজীপাড়া এলাকায় মদের ঠেক, গাঁজার রমরমার প্রতিবাদ করতেন সাবির আলি। এলাকায় হিরু বলেই জনপ্রিয় ছিলেন সাবির আলি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেই প্রতিবাদী ভূমিকার জন্য পুলিশ তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে । আর তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দমদম জেলে আটক রাখে। আর তার উপর অত্যাচারের কারণে তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার বারাসাত থানার পুলিশের কাছ থেকে সাবিরের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তারপরই বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী টায়ার জ্বালিয়ে বেশ খানিকক্ষণ ধরে অবরোধ করেন টাকি রোড। বারাসাত জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct