সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: একদা তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পদে ছিলেন। ছিলেন রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদেও। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । কিন্তু দল তাঁর থেকে দূরত্ব বজায় রাখলেও হেফাজতে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখে বৃহস্পতিবার শোনা গেল আত্মবিশ্বাসের সুর। বেশ দৃঢ়তা এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এদিন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের শুভেচ্ছা বার্তা দেন দলের প্রাক্তন মহাসচিব। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এমন আত্মবিশ্বাসের নেপথ্যে কি রয়েছে কোনও রহস্য? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।ঠিক কী বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? এদিন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ঢোকার মুখে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী বেশ আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেন, ‘তৃণমূলের ২৫ তম প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে সকল সহকর্মীদের শুভেচ্ছা জানাই। বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। আমার এলাকা বেহালার নাগরিকদের অভিনন্দন। বহু প্রতীক্ষিত জোকা-তারাতলা মেট্রো রেল চালু হোক। আমাদের বহুদিনের শখ, তা যেন পূর্ণতা পায়।’ দল তাঁর থেকে দূরত্ব তৈরি করলেও তিনি যে দলের পাশে রয়েছেন আগেই তা জানিয়ে দিয়েছেন। এমনকি দল তাঁর বিরুদ্ধে যা সিদ্ধান্ত নেবে তা মাথা পেতে মেনে নেব বলে জানিয়েও দিয়েছেন তিনি। তার পরেও জেলবন্দি অবস্থায় তিনি যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে শুভেচ্ছা জানালেন দলের কর্মী সমর্থকদের, যেন তিনি এখনও শাসকদলের মহাসচিব পদে বহাল রয়েছেন! আর এই বিষয়টি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের নজরে পড়েছে।জল্পনা, তবে কী জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরবেন? আর তা নিয়ে কি গোপনে চলছে কোনও বার্তা আদান প্রদান? যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পার্থর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে যা বলেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। মন্ত্রিসভা এবং দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পার্থবাবুর কিছু কাজ দল ভাল চোখে নেয়নি তাই এই সিদ্ধান্ত। পার্থবাবু বয়স্ক মানুষ। দীর্ঘদিন একটি দলে ছিলেন। দল পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে তার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। তবে কী বলছেন তার দায় দল নেবে না।’
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct