আপনজন ডেস্ক: কর্নাটক হিজাব নিষিদ্ধের পরে আরও একটি বিশাল বিতর্কের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ক্ষমতাসীন বিজেপির একজন নেতা রাজ্য নির্বাচনের এক বছর আগে হালাল মাংস নিষিদ্ধ করার জন্য একটি বিল পেশের পরিকল্পনা করছেন। গতকাল শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়া রাজ্য বিধানসভায় এই বিষয়টি ঝড় এবার তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও কংগ্রেস এই বিলের বিরোধিতা করতে চলেছে। কর্নাটক সরকার বলছে, তারা বিলটি সমর্থন করবে কিনা তা নিয়ে তারা এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ‘দেখা যাক কখন আসে; বেসরকারি সদস্য বিলের নিজস্ব অবস্থান রয়েছে। আমরা দেখব এটা কী।’বিজেপির রবি কুমার, যিনি বিধানসভার উচ্চকক্ষের একজন সদস্য, যিনি ব্যক্তিগতভাবে বিলটি উত্থাপন করছেন, তিনি দাবি করেছেন, হালাল সার্টিফিকেশন মুসলিম সংস্থাগুলি দ্বারা করা হয়। যার শংসাপত্রের জন্য বিশাল ফি চার্জ করে এবং এটি থেকে প্রচুর লাভ করছে। এই মুসলিম সংস্থাগুলির ‘পরিচয় এবং স্থিতি’ স্পষ্ট নয় বলে উল্লেখ করে বিলটিতে বলা হবে, ‘একটি স্বীকৃত কর্তৃপক্ষ নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত হালাল সার্টিফিকেশন নিষিদ্ধ করা হবে।
খবরে বলা হয়েছে, রবিকুমার যিনি রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকও, এর আগে এই বিষয়ে রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলটকে চিঠি লিখেছিলেন। এখন তিনি বিধান পরিষদের চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখেছেন, খাদ্য সুরক্ষা ও মান আইন, ২০০৬ সংশোধনের জন্য বিলটি উত্থাপনের অনুমতি চেয়েছেন, যাতে কোনও বেসরকারি ব্যক্তি বা সংস্থাকে খাবারের শংসাপত্র দেওয়া থেকে নিষিদ্ধ করা যায়। চিঠিতে দাবি করা হয়েছে যে প্রস্তাবিত সংশোধনীটি সরকারের উপর কোনও আর্থিক বোঝা চাপিয়ে দেবে না এবং পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের জন্য ৫,০০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব আনবে। ইসলামি ধর্মীয় বৈশিষ্ট্য অনুসারে পশু জবাই করা মাংসকে হালাল বলা হয়। এই বছরের শুরুতে একজন বিজেপি নেতা এটিকে ‘অর্থনৈতিক জিহাদ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। বেশ কয়েকটি ডানপন্থী সংগঠন এমনকি নবরাত্রি এবং উগাদি উৎবের সময় হালাল মাংস পরিবেশিত খাবারের দোকানগুলি বয়কটের আহ্বান জানিয়েছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct