আজিজুর রহমান, গলসি, আপনজন: গলসির পারাজে নির্মিত হচ্ছে পাকা বাড়ি তবুও আবাস যোজনায় পঞ্চায়েত প্রধানের স্ত্রীর নাম। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় এলাকার। বিষটি নিয়ে মুখ খুলেছেন গ্রামবাসী থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দল। জানা গিয়েছে, পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাজাহান শেখের আন্ডার গ্রাউন্ড সহ একটি বাড়ি অর্ধ নির্মান হয়ে আছে। কয়েকমাস ধরে সেই আন্ডার গ্রাউন্ডেই পরিবার নিয়ে বাস করছেন প্রধান। তবে বর্তমান আবাস প্লাস যোজনার ২২০ (১৪০৪৯৯৪৫০) নং সিরিয়ালে তার স্ত্রী ববিতা বেগমের নাম এসেছে। তবে ওই বাড়িটি নিতে চান না বলে জানিয়েছেন, ওই পঞ্চায়েত প্রধান সাজাহান সেখ ও তার স্ত্রী ববিতা বেগম। গ্রামবাসী বাপি মন্ডলের অভিযোগ, কুড়ি - ত্রিশ লাখ টাকা খরচ করে একটি আন্ডার গ্রাউন্ড সহ দোতালা বাড়ি নির্মান করছে প্রধান। গ্রামের বহু গরিব মানুষ সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পাচ্ছে না। তবে ও নিজের সিস্টেমে নিজের পরিবারের নামে বাড়ি করে নিচ্ছে। বাকি কে পেল না পেল সেটা ওর দেখার প্রয়োজন নেই। আমরা চাই, গরিব মানুষ পাক বাড়িটা। ওর বাড়িটা ক্যানসেল করা হোক। তাছাড়া ওর কোন সোর্স নেই তো ইনকামের তাহলে এতবড় বাড়ি ফাঁদলো কিভাবে ওই জানে। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য জয়দীপ চ্যাটার্জ্জী বলেন, এটা অবাস্তব কিছু নয়। চুরি করাই তো তৃণমূলের ছোট বড় সব নেতার কাজ। তারা চান, প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনার ওই বাড়িটি কোন গরিব মানুষ পাক। প্রধানের স্ত্রী ববিতা বেগম বলেন, আমি সরকারের দেওয়া ওই বাড়িটি চাইনা। ওটা যাদের হক তারা পাক। আমরা ব্যাংক থেকে মোট সাড়ে সাত লাখ টাকা লোন নিয়ে বাড়ি শুরু করেছি। পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শেখ সাজাহান বলেন, ২০১৮ সালে আমার মাটির বাড়িটি ভেঙে গিয়েছিল। তখন পঞ্চায়েতের স্টিয়ারিং কমিটি আমার নামটি পাঠিয়েছিল। এখন আমি ব্যাংক লোন নিয়ে বাড়ি শুরু করেছি। যা অবশিষ্ট আছে তা আমি আস্তে আস্তে করে নেব। বর্তমানে আমার ওই সরকারি বাড়িটার প্রয়োজন নেই। বাড়ির তদন্তে আসা সরকারি কর্মীদের আমি আমার নামটি লিস্ট থেকে বাদ দিতে বলেছি। আমি চাই ওই বাড়িটা কোন গরিব মানুষকে দিক সরকার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct