সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম, আপনজন: পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে দলীয় রণকৌশল স্থির করতে আলোচনা সভা তথা মিটিং এর মাধ্যমে প্রস্তুতি নিতে শুরু হয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। অনুরূপ বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শনিবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় জেলা বৈঠক। পঞ্চায়েত ভোটের রণকৌশল বিষয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেই জেলা বৈঠক।তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের অনুপস্থিতিতে তৃণমূল কোর কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতেই তৈরি হচ্ছে জেলার সাংগঠনিক ও পঞ্চায়েত ভোটের রূপরেখা।
এদিন বৈঠকে মূলত ব্লক সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতিদের কোনো আত্মীয়স্বজনের নাম যেন প্রার্থী তালিকায় না থাকে,তার স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়। সেইসাথে ঠিকাদারদের ও নাম রাখা যাবেনা। ব্লক সভাপতিদের বলেন একুশে ডিসেম্বরের মধ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত প্রার্থীদের নামের তালিকা জমা দেওয়া।যার উপর ভিত্তি করে প্রার্থীদের খোঁজ খবর নেওয়ার কাজ শুরু করবে উপর নেতৃত্ব । অনুব্রত হীনতার সুযোগ নিয়ে বীরভূমে জনসংযোগ ও সভা মিছিলে বিরোধীরা যেন সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে না পারে সেজন্য বিরোধী শিবিরের পাল্টা সভায় তৃণমূলের লোকসমাগম উপচে পড়া ভীড় লক্ষনীয়। যখন পঞ্চায়েতের প্রধানদের বারংবার কটাক্ষ করছে বিজেপি এবং দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে ভোট গোছাতে ব্যস্ত ঠিক তখনই তৃণমূল এবারের ভোটে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন প্রার্থী খুঁজতে মরিয়া এবং দলীয় ভাবে ও এবিষয়ে কঠোর মনোভাবাপন্ন। আজকের বৈঠকে ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি, পুরপ্রধান ও অন্যান্যকর্মীদের নিয়ে আলোচনা করা হয়। সম্ভাব্য প্রার্থীর নামের তালিকা জমা দেওয়ার পর চার মাস সময় থাকবে সেই সময়ের মধ্যে প্রার্থীদের ভাবমূর্তি খতিয়ে দেখবে দলীয় কোর কমিটি। অন্যদিকে জেলবন্দী অনুব্রত মন্ডল ছাড়া না পেলে জেলে বসেই পঞ্চায়েত নিয়ন্ত্রণ করবেন,এমন বার্তা শোনার পরই আশ্বস্ত হয়েছেন দলীয় কর্মীরা। তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, অনুব্রত মণ্ডলের দেখানো পথেই দল ও দলের সাংগঠনিক নেতাকর্মীরা হাটবেন। বৈঠকে ব্লক সভাপতিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বুথস্তরে কর্মীদের নিয়ে বৈঠকের মধ্য দিয়ে প্রার্থী বাছাই করার। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে পাঠানো হবে রাজ্য কমিটিকে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct