সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: নবান্নে ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর অবশেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে প্রায় মিনিট কুড়ি একান্ত বৈঠক হল। ২০১৮ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেছিলে। তারপর আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হল শনিবার। যদিও সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর মধ্যাহ্নভোজ সেরেই বিমানবন্দরে পৌঁছনোর কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বনেদ্যাপাধ্যায়েল আমন্ত্রণ ফেলতে পারেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নবান্নের ১৪ তলায় মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে যান অমিত শাহ। দুজনের মধ্যে প্রায় কুড়ি মিনিট একান্তে কথাবার্তা বলে জানা গিয়েছে। তবে, তাদের আলোচনায় ঠিক কি কি বিষয় উঠে এসেছে তা স্পষ্ট না হলেও একশো দিনের কাজের টাকা সহ বকেয়া টাকা নানা দাবি. এমনকি সিবিআইকে দিয়ে তৃণমূল নেতাদের ‘হয়রানি’ প্রসঙ্গ ওঠার সম্ভাবনা।
এদিন নবান্নে ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়ের উপরেই বেশি জোর দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিনের বৈঠকে অমিত শাহের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী ও সেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং ওড়িশার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তুষারকান্তি বেহেরা অংশ নেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রধান ও রাজ্যগুলির সচিব পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও এই বৈঠকে অংশ নেন। এদিন বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু ছিল সীমান্ত নিরাপত্তা। এদিন অমিত শাহ বৈঠকে বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্ব যতটা বিএসএফের, ঠিক ততটা রাজ্যেরও রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। আগের সরকারের খামতি ছিল। আমরা তা অনেকটা পূরণ করেছি। আরও উন্নয়নের জন্য এগোচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের চার রাজ্য বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড এই কাউন্সিলের সদস্য। মূলত প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মধ্যে আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ আলোচনা ও সমাধানের পথ খুঁজতেই সদস্য রাজ্যগুলিতে ঘুরে ঘুরে এই কাউন্সিলের বৈঠক বসে প্রতি বছর। এবার পশ্চিমবঙ্গ এই বৈঠকের আয়োজক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct