নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতি,বঞ্চনা ও স্বজনপোষণের অভিযোগ ঘিরে দিকে দিকে চলছে বিক্ষোভ ও উত্তেজনা।বিরোধীদের আক্রমণের মুখে শাসকদল।এই আবহেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোল্লাবাড়ি ও জনমদল এলাকার বঞ্চিত একাংশরা ঘরের দাবিতে হাতে প্লে কার্ড নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়।বঞ্চিত গ্রামবাসীদের অভিযোগ,যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে,গাড়ি রয়েছে, রেফ্রিজারেটর আছে,জমি রয়েছে এবং এর পূর্বে যারা সরকারি বাড়ি পেয়েছে সদ্য প্রকাশিত আবাস যোজনা তালিকায় তাদেরই নাম রয়েছে।এমনকি একেকটি পরিবারে দুই থেকে তিনটি বাড়ি এসেছে বলে অভিযোগ।অপরদিকে গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর পরিবারগুলি এই ঘর থেকে বঞ্চিত রয়েছে। জানা গিয়েছে,মোল্লাবাড়ি ও জনমদল
গ্রামের অধিকাংশ মানুষই দিনমজুর ও কৃষিজীবী।গ্রামের বেশিরভাগ বাড়ির অবস্থাই একেবারে বেহাল।কারও মাটির বাড়িতে টালির ছাউনি,কারও বা বাড়ির মাথায় কোনরকমে প্লাস্টিকের আচ্ছাদন দেওয়া।ফলে কৃষিজীবী এই পরিবারগুলির দীর্ঘদিনের দাবি,আবাস যোজনায় তাঁদের ঘর দেওয়া হোক।কিন্তু প্রকৃত মানুষদের বঞ্চিত করে টাকার বিনিময়ে অন্যান্যদের ঘর দেওয়ার অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের।নতুন তালিকা সেই ক্ষোভের আগুন ঘৃতাহুতি দেয়।তালিকায় যোগ্যদের নাম না থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।তবে দীর্ঘদিনের এই বঞ্চনার অবসান না হলে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের দাবিও তুলেছেন ‘বঞ্চিত’ গ্রামবাসীরা। যদিও পঞ্চায়েত সদস্য একরামুল হক তাদের অভিযোগ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়ে বলেন যারা অভিযোগ তুলেছে তারা বিরোধীদলের ।তারা এর পূর্বে বাড়ি পেয়েছে।পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় তার ভাবমূর্তি নষ্ট করার একটা চক্রান্ত করছে। রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পুষ্প রবি দাসের স্বামী সদানন্দ রবি দাস জান ২০১৮ সালে জিও ট্যাকিং এর সময় অনেকেরই কাঁচা বাড়ি ছিল।চার বছরে অনেকেই পাকা বাড়ি করে নিয়েছে। সরকারিভাবে সার্ভের কাজ চলছে। এখনো চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct