আপনজন ডেস্ক: উচ্চশিক্ষায় গবেষণার জন্য বিশেষ করে এমফিল, পিএইচডি করার ক্ষেত্রে এতদিন সংখ্যালঘু পড়ুয়ারা মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল ফেলোশিপ পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি সম্প্রতি ঘোষণা করেন এই বৃত্তি ২০২২-২৩ বর্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সেই ঘোষণার পর দেশের শিক্ষামহল থেকে নিন্দার ঝড় ওঠে। প্রতিবাদে সরব হন ঐতিহাসিক ইরফান হাবিব থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (এআইএসএ) এবং আরও কয়েকটি সংগঠন এই সপ্তাহের শুরুতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দিল্লিতে বিক্ষোভ করেছিল। অবিলম্বে মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল ফেলোশিপ চালু করার দাবিতে মঙ্গলবার সংসদে সরব হন বেশ কয়েকজন মুসলিম সাংসদ। অবশেষে এ নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
সংবাদ সংস্থা ইউএনআই জানিয়েছে, বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন লোকসভায় জোর দিয়ে বলেছেন সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য মৌলানা আজাদ জাতীয় ফেলোশিপ বাতিল করা হবে না এবং এই বিষয়ে কোনও বিভ্রান্তি তৈরি করা উচিত নয়। প্রকল্পটি ২০০৯ সালে চালু করা হয়েছিল। এর অধীনে, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি এবং শিখ - ছয়টি তফসিলি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের এমফিল এবং পিএইচডি অধ্যয়নের জন্য পাঁচ বছরের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থী মাওলানা আজাদ ন্যাশনাল ফেলোশিপ পাচ্ছেন, তারা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত এই বৃত্তি পাবেন। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিয়ে তিনি বলেন, তাদের যাবতীয় অভিযোগ বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন। ২০২২-২৩ বর্ষে মৌলানা আজাদ ফেলোশিপে অর্থ সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct