সুকমল দালাল, শান্তিনিকেতন, আপনজন: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে একদল পড়ুয়া তাদের বেশ কিছু দাবি দাওয়ার জন্য ঘেরাও করেছিলেন। মঙ্গলবার ২০ দিন গৃহবন্দী হওয়ার পর তিনি মুক্ত হন। এদিন সস্ত্রীক উপাচার্যকে নিয়ে কেন্দ্রীয় অফিসে নিয়ে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষী ও আধিকারিক কর্মীরা। এই সময় আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও দেখা যায়। যদিও আগামীতে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গত ২৩ নভেম্বর উপাচার্যকে তার অফিসে ১০ ঘণ্টা ঘেরাও করে পড়ুয়ারা। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের ভর্তির সমস্যা, গবেষণার কাজ ব্যাহত করা সহ আরও অনেক বিষয় নিয়ে তারা জোরালো দাবি জানায়। পরে উপাচার্য ঘেরাও মুক্ত হলেও, তার বাসভবন ‘পূর্বিতা’র সামনে আন্দোলনমঞ্চ গড়ে তোলে কিছু পড়ুয়া। উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখে তার এই বাসভবনে। দীর্ঘদিন উপাচার্য বন্দী থাকার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশের সহযোগিতায় মুক্ত হন। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত অধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলনরত পড়ুয়া সোমনাথ সৌ জানান, ‘উপাচার্য জোর করে আমাদের আন্দোলন ভেঙেছে। আমাদের উপর নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি নয়’। এইদিন পড়ুয়াদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের তুমুল হাতাহাতিও দেখা যায়। এমন ঘটনা শান্তিনিকেতনে নজিরবিহীন বলে জানান আশ্রমিক সহ বিশিষ্টরা। বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপাচার্যকে প্রবেশ করানোর পর বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত গবেষক মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন , ‘এই উপাচার্য ইচ্ছা করে আমার গবেষণা পত্র জমা করতে দিচ্ছে না। ছাত্রছাত্রীদের কোনো সমস্যায় কর্ণপাত করছে না। আমাদের আন্দোলন জোরপূর্বক তুলে দিয়েছে। আমরা আবার আন্দোলন শুরু করব’। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় সমগ্র ক্যাম্পাসে। মোতায়েন ছিল পুলিশ
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct