আপনজন ডেস্ক: ইউরোপিয়ান গতিময় ফুটবলের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয় হলো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের। প্রথমার্ধে ফ্রান্স এগিয়ে যাওয়ার পর পেনাল্টি থেকে ম্যাচে সমতা ফিরিয়েছিলেন হ্যারি কেন। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ সময়ে ফের সমতায় ফেরার সুযোগ থাকলেও পেনাল্টি মিস করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক! ২-১ ব্যবধানের জয়ে ইংলিশদের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলল বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। আল বাইত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরু থেকেই চিরচেনা গতিময় ফুটবল খেলতে থাকে। ম্যাচের ৪র্থ মিনিটে ইংল্যান্ডের একটি আক্রমণ প্রতিহত করার পরই যেন জেগে ওঠে ফ্রান্স। একের পর এক আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে ইংলিশ রক্ষণভাগ। ১৭তম মিনিটে এমবাপ্পের বাড়ানো বল সতীর্থের পা ঘুরে চলে আসে আরেলিয়া চুয়ামেনির পায়ে। গোলপোস্টের সামনে কিপার ছাড়া আর কেউ না থাকায় দূরপাল্লার শটে বল জালে জড়িয়ে দেন ২২ বছর বয়সী রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার। ফ্রান্সের হয়ে এটা চুয়ামেনির দ্বিতীয় গোল। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ফ্রান্স। পিছিয়ে পড়ে ডিফেন্সের চেয়ে আক্রমণে মনযোগ দেয় ইংল্যান্ড। ২৬তম মিনিটে ডান দিক থেকে বক্সে ঢোকার মুখে হ্যারি কেইন পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন করে তারা। কিন্তু রেফারি কিংবা ভিএআর তাদের বিপক্ষেই রায় দেয়। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড। বিরতি থেকে ফিরেই পেনাল্টি কিক থেকে স্কোর সমান করে ফেলেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন। ৫৩তম মিনিটে এই চুয়ামেনির কারণেই ইংলিশরা পেনাল্টি পায়। ডি বক্সের ভেতর বুকায়ো সাকাকে ফাউল করে বসেন এই তরুণ। স্পটকিক থেকে ম্যাচে সমতা ফেরান ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন। ৭৮ মিনিটে গ্রিজমানের ভাসানো বলে অসাধারণ এক হেডে ফের ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন অলিভার জিরুদ। নাটকের এখানেই শেষ নয়। ৮২ মিনিটে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। তবে স্পটকিক থেকে এবার আর গোল করতে পারেননি হ্যারি কেন! যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে একট ফ্রি কিক থেকে অল্পের জন্য গোল করতে ব্যর্থ হন রাশফোর্ড। ২-১ গোলের জয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে ফ্রান্স।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct