নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: মৃত্যুর সাতদিন পর যুবকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য ঘনীভূত।কবর পাহারায় রয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়ার্স।খুন নাকি আত্মহত্যা তদন্তে নেমেছে পুলিশ।ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাররা গ্রামে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়,রহস্যে ঘেরা মৃত যুবকের নাম হাসনুর হোসেন (২৫)।বাড়ি গাররা গ্রামে।মৃত যুবকের ময়নাতদন্ত চেয়ে ঘটনায় জড়িত ৮ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত যুবকের প্রথম পক্ষের স্ত্রী আরবিনা খাতুন।অভিযোগের ভিত্তিতেই এক যুবককে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।শনিবার পুলিশি হেফাজতে চেয়ে ওই যুবককে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মৃত হাসনুর হোসেনের দুটি বিয়ে।সে ভিন রাজ্যে কাপড় সেলাইয়ের কাজ করত।বছর পাঁচেক আগে বিহারের আজমনগর থানার বাসাগাঁও গ্রামে ভালোবেসে আরবিনা খাতুন কে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে।তাদের তিন বছরের এক পুত্র সন্তানও রয়েছে।বিয়ের পর থেকেই পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকত।প্রায় এক বছর আগে পারিবারিক অশান্তির কারণে আরবিনা বাবার বাড়ি চলে যায়।তাদের পারিবারিক মামলা পৌঁছায় কোর্ট পর্যন্ত।মামলা চলাকালীন হাসনুর বিহারের বারসই থানার মসলমপুর গ্রামে আনা খাতুন নামে এক যুবতীকে দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার শুরু করেন।১৪ ডিসেম্বর প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসার কথা ছিল।তার আগেই ৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে শোয়ার ঘর থেকে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকেরাই।পুলিশ প্রশাসন ও প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে কোনো কিছু না জানিয়ে যুবকের সমাধিস্থ করে দেয় বলে অভিযোগ।
এতেই সন্দেহের দানা বাঁধতে থাকে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর মনে।তাই স্বামীর মৃত্যুর আসল ঘটনা জানতে ময়নাতদন্ত চেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে শ্বশুর শাশুড়ি সহ সাত অভিযুক্ত। অভিযোগকারী তথা প্রথম পক্ষের স্ত্রী আরবিনা জানান,পারিবারিক অশান্তির কারণে এক নাবালক সন্তানকে নিয়ে প্রায় এক বছর ধরে বাবার বাড়িতে রয়েছে।কোর্টে মামলা চলাকালীন তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার করতে শুরু করে। ১৪ ডিসেম্বর তাকে আনতে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই এই ঘটনা। দ্বিতীয় স্ত্রী এবং ওর পরিবারের লোকেরা একযোগে ষড়যন্ত্র করে তার স্বামীকে হত্যা করেছে বলে দাবি। ধৃত রাকিব আলি জানান, তিনি এই মৃত্যুর ব্যাপারে কিছুই জানেন না।তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেবদূত গজমের জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কবরস্থানে পুলিশি পাহারা চলছে। ময়নাতদন্ত হলেই সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct