নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: বৃহস্পতিবার থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামে শুরু হয়েছে সম্প্রীতির উরসমেলা। চলবে দুইদিন ধরে। স্থানীয় ছাড়াও বাইরে থেকে বহু মানুষ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এই উরকে ঘিরে দুই দিন ধরে বসে কাওয়ালির আসর ও মাজারে চলে ফাতেহা, জিয়ারত। উরস কমিটির সভাপতি আব্দুল সালাম জানান,১৯৭২ সাল থেকে পির হজরত সৈয়দ শাহ কুতুবুদ্দিন রহমতুল্লাহ আলাইহের স্মৃতিতে চলে আসা এই উরস এবার ৫০ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। উরস কমিটির সম্পাদক জহুরুল আলম বলেন,দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে পীর হযরত সৈয়দ শাহ কুতুবুদ্দিন রহমতুল্লাহ আলাইহের স্মরণে উরস মেলা হয়ে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা জমির মালিক জামালুদ্দিন এক শতক জমি দান করেন।সেই জমিতেই মাজার গড়ে তোলা হয়েছে।এই মাজার ঘিরেই উরস উৎসব পালন করে আসছেন গ্রামবাসীরা।
উরুস কমিটির কোষাধ্যক্ষ মহম্মদ শাহাজাহান জানান,একসময় পিরের খিদমত করতেন জামালুদ্দিন।তাঁর মৃত্যুর পর থেকে খিদমত করতেন শরিফুদ্দিন।তিনি আবার খাজা ওয়াহিদ আসগরের কাছে মুরিদ হন।তারপর খিদমত শুরু করেন আরিফুল রহমান।বর্তমানে মাজারের খিদমতে রয়েছেন দুই খাদিম মহম্মদ লতিফ ও মহম্মদ শাহজাহান।পিরবাবার যাঁরা খিদমত করতেন,সেই খাদেম তথা ভক্তদের বংশধররা আজও বংশ পরম্পরায় ভবানীপুর গ্রামে বসবাস করে আসছেন।পিরের খাদেম মহম্মদ লতিব জানান,২০১৮ থেকে পিরের মাজারে লঙ্গরখানা খোলা হয়েছে।প্রথম দিকে সপ্তাহের বৃহস্পতিবার পিরের উদ্দেশ্যে ফাতেহা করা হত।১৮ সপ্তাহ চলার পর স্বপ্নাদেশ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার ফাতেহা করা হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct