সেখ রিয়াজুদ্দিন, বীরভূম: মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে শুরু হয়েছে “চলো গ্রামে যাই” নামক কর্মসূচি। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি বীরভূমের অন্যান্য ব্লকের ন্যায় খয়রাসোল ব্লক এলাকায় শুরু হয়েছে উক্ত কর্মসূচি। গত ১লা নভেম্বর ২০২২ থেকে শুরু হয়েছে চলবে আগামী ১২ই জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত। এই কর্মসূচির মাধ্যমে দলীয় মহিলা নেতৃত্বদানকারীরা বাংলার প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি বুথের প্রতি বাড়িতে পৌঁছে যাবে এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের কথা তুলে ধরে প্রচার করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়।সেই রূপ বৃহস্পতিবার খয়রাসোল ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী এবং বড়রা অঞ্চল সভাপতি সেখ জয়নাল এর তত্ত্বাবধানে ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে বড়রা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় গ্রামেরই বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় মহিলা প্রতিনিধি দলটি ঘুরে মহিলাদের সাথে জনসংযোগ স্থাপন করেন। এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের কথাগুলি জনসমক্ষে তুলে ধরেন।লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, সবুজ সাথী, মানবিক, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা ইত্যাদি প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষ যে দলমত নির্বিশেষে সমস্তরকম সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন, এজন্য মুখ্যমন্ত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী করার আহ্বান জানান দলীয় নেতৃত্বগন। সেইসাথে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত বিষয়ে ও মুখ্যমন্ত্রীর যে অবদান, তা মহিলাদের সম্মুখে জোর দিয়ে বলেন।
উল্লেখ্য রাজ্য, জেলা নেতৃত্ব চলো গ্রামে যাই কর্মসূচির মাধ্যমে যে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে সেই মোতাবেক বড়রা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বলে দলীয় নেতৃত্বের দাবি। উল্লেখ্য ২০ টি পরিবার প্রতি ১ জন স্থানীয় গ্রাম বা পাড়ার মহিলা নেত্রী তৈরি করা ।সেই নেত্রী বা দলীয় মহিলা কর্মী উক্ত পরিবারের আপদে বিপদে সর্বদা পাশে থাকায় অঙ্গীকারবদ্ধ। বৃহস্পতিবার তারই বহিপ্রকাশ দেখা যায় বড়রা গ্রামে চলো গ্রামে যাই কর্মসূচিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ।
উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা তথা খয়রাসোল পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি অসীমা ধীবর,খয়রাশোল ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভানেত্রী কেনিজ রশিদ, হজরতপুর অঞ্চল নেত্রী দীপ্তি লাহা,কেন্দ্র গড়ে অঞ্চল নেত্রী বাবলি চক্রবর্তী,বাবুইজোড় অঞ্চল নেত্রী রুকসানা বেগম প্রমুখ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct