এহসানুল হক, বসিরহাট, আপনজন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনো পাহাড়ে ছুটে চলেছেন, কখনো বা আবার জঙ্গল মহলে! আবার কখন কখন বাংলার এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্তরে। বাংলার লোক সংস্কৃতি আজ তাঁর হাত ধরেই প্রাণ খুঁজে পেতে মরিয়া। বাংলায় এদিকে ওদিকে বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই চলছে সেই চেষ্টা। আজ তারই প্রচেষ্টার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের সাক্ষী হতে চলেছে বসিরহাটবাসী। বসিরহাট ভ্যাবলা হাইস্কুল মাঠে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে, মিলন মেলা। মেলায় প্রবেশ পথে ফিতে কেটে এবং বেলুন উড়িয়ে শুভ উদ্বোধন করেন চেয়ারম্যান অদিতি মিত্র ও জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বাদল মিত্র। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী সুস্মিতা ব্যানার্জি , বসিরহাটের জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি কৌশিক দত্ত, জেলা বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, বিভুরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে বিকাল আড়াইটে থেকে শুরু হয় এক শোভাযাত্রা। বসিরহাট দেবদুত সংঘের মাঠ থেকে শুরু হওয়া এ বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রায় অংশ নেন এলাকার কয়েক হাজার মেলা প্রেমিক মানুষ। শোভা যাত্রায় বাংলার একাধিক লোকসংস্কৃতি ট্যাবলো নিয়ে তুলে ধরার ব্যাবস্থা করেছিলেন আয়োজোকরা। যেটি এ শোভা যাত্রার মূল আকর্ষণ ছিল। ছৌনাচ, বাউল থেকে শুরু করে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল এ শোভাযাত্রায়। বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই “মিলন মেলা” চলবে দশদিন । প্রত্যহ বিকাল চারটে থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বসিরহাটের মহকুমার তাঁত শ্রমিকদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পরিমল মজুমদার। ইছামতীর ধার দিয়ে বেড়ে ওঠা বসিরহাটের এই “মিলন মেলায়”প্রতিদিন থাকছে ৬৫টি স্টল, পুস্তকের স্টল সাথে প্রত্যেকদিন বাউল গান সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জেলা পরিসদের কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলেন, বসিরহাট মিলন মেলার মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct