মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: অন্যতম প্রাচীন জনপদ রায়না ওয়ান এর হিজলনা পঞ্চায়েতে মাছখান্ডা গ্রাম। যে গ্রামে বহু প্রাচীন মসজিদ দেখতে পাওয়া যায়। গামের পাশ দিয়ে দেবখাল তরতর করে বয়ে চলেছে । আগে এক সময় দামোদর নদী এই দিকে প্রবাহিত হতো। পাঠান মুঘলদের অন্যতম ঘাঁটি ছিল এই মাছখান্ডা এলাকা। এই পাশাপাশি এলাকাতেই পাঠান সরদার রহিম খান দুই মুঘল সেনাপতিকে হত্যা করেছিলেন। এখানে এর পাশাপাশি এলাকায় হাতিশালা, ঘোড়াশালা থাকতো এবং সৈনিকদের থাকার ব্যবস্থা ছিল। বহু প্রাচীন এই মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া হয়। এই মসজিদের সম্পাদক ছিলেন হাজি হায়দার আলী সাহেব যিনি স্থানীয় হাইস্কুলের স্কুলের প্রধান শিক্ষকও ছিলেন। কিছুদিন হল তিনি মারা গেছেন। মসজিদ কমিটির সুচারু রূপে মসজিদ পরিচালনা করছেন। পাশে বিখ্যাত বুজুর্গ আল্লাহর ওলী শাহ জংলী বাবার মাজার আছে। চৈত্র মাসে বাৎসরিক অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয় এবং খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। মসজিদের ইমাম মাওলানা বাইনুল ইসলাম সাহেব। বর্ধমান শহর লগ্ন বা কাছাকাছি এলাকার মাছখান্ডা মসজিদ অনেক প্রাচীন মসজিদ। মসজিদের কারুকার্য এর তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের প্রাচীনত্তর ঐতিহ্যের জানান দেয়। স্থানীয় বাসিন্দা বাদশা জানান তাদের এলাকা সম্প্রীতির এলাকা এখানে হিন্দু-মুসলমান পাশাপাশি বসবাস করে। মসজিদ থেকে সম্প্রীতির বাণী প্রচার করা হয়।জংলী বাবার অনুষ্ঠানে হিন্দু মুসলিমের মিলন উৎসবে পরিণত হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct