সম্প্রীতি মোল্লা, কলকাতা, আপনজন: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর সুযোগ্য পুত্র এবং রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির রূপকার ও প্রতিষ্ঠাতা রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৩৫ তম জন্মদিন সাড়ম্বরে পালিত হল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি প্রাঙ্গনে অবস্থিত বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির উদ্যোগে। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির গৌরবময় অধ্যায় ও বংশপরম্পরাগতভাবে দিকপাল ব্যক্তিত্বদের স্মরণ ক'রে রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটি এই দিনটি পালন করে 'পরম্পরা' দিবস হিসাবে। এবারের জন্মদিবস অনুষ্ঠান দুটি ভাগে করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ২৭ শে নভেম্বর তারিখে সোসাইটির পাঠাগার কক্ষে এক মনোজ্ঞ আলোচনা ও বক্তৃতার আয়োজন করা হয়েছিল। সোসাইটির শিল্পীদের গাওয়া গানের পর "রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মারক বক্তৃতা" দেন অধ্যাপক শ্রী অভ্র বসু, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিনিকেতন। বক্তব্য রাখেন ডঃ সমীর শীল, সত্যকাম বাগচী এবং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়।
প্রথাগত 'পরম্পরা' অনুষ্ঠানটি পালিত হয় গত ৪ ই ডিসেম্বর তারিখ সন্ধ্যায় রথীন্দ্রমঞ্চে। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি অসীম কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। সোসাইটির শিল্পীদের পরিবেশনায় সমবেত আলেখ্য পাঠের পর বক্তৃতা করেন রবীন্দ্র ভারতী সোসাইটির সভাপতি বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক শ্রী সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অসীম কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলেই তাঁদের বক্তৃতায় শান্তিনিকেতনে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিপুল কর্মকাণ্ডের উল্লেখ সহ তাঁর অপরিসীম কর্মোদ্যোগের বিষয়টি আরও বেশী ক'রে পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা জানান। এর পর 'পরম্পরা' শীর্ষক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রখ্যাত ব্রহ্মসঙ্গীত রচয়িতা ও গায়ক নির্মল চন্দ্র বড়ালের সুযোগ্য পুত্রদ্বয় পরম্পরাগতভাবে সুগায়ক শ্রী সুনীল চন্দ্র বড়াল ও শ্রী শ্যামল চন্দ্র বড়াল এবং সুনীল চন্দ্র বড়ালের পুত্র স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী শ্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনজন গায়ক সুমধুর কণ্ঠে একের পর এক পরিবেশন করেন বিশুদ্ধ গায়কী সমাহারে ব্রহ্মসঙ্গীত ও রবীন্দ্রসঙ্গীত - যা শ্রোতৃদর্শকমণ্ডলীকে ক'রে রাখে আবিষ্ট মন্ত্রমুগ্ধ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শ্রীমতী মধুমিতা বসু। দর্শকাসনপূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে 'পরম্পরা' পর্যায় অনুষ্ঠানটি ভীষণভাবে সমাদৃত হয় সকলের কাছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct