X
৭ ডিসেম্বর, ২০২২,
বুধবার১২:৩০
মনিরুজ্জামান, কলকাতা, আপনজন: ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের ইতিহাসে কালো দিন। উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আক্রমণে ধ্বংস হয়েছিল মুঘল আমলের বাবরি মসজিদ।বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধান প্রণেতা ডঃ ভীমরাও রামজি আম্বেদকরের মৃত্যু দিবসে ভুলুণ্ঠিত হয়েছিল মুসলিম সমাজের কাছে আত্মমর্যাদা সম্পন্ন ঐতিহ্যমন্ডিত বাবরি মসজিদ। ৬ ডিসেম্বরকে ইতিহাসের কালো দিন হিসাবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি এই দিনটিতে সংহতি দিবস হিসাবে পালন করে আসছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখ্য, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের ডাকে মঙ্গলবার কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সংহতি দিবসের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে তুলোধুনো করার পাশাপাশি সম্প্রীতি,সংহতি রক্ষার্থে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বার্তা তুলে ধরেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কর্মকুশলতা সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় বলে দাবি করেন। তাঁরা বলেন, বিভাজনের রাজনীতি করে বেশিদিন মানুষের মন জয় করা যায় না। তাই বিজেপি বাংলায় যে কোনও নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের কাছে গোহারা হারবে বলে ভবিষ্যৎবাণী করেন তাঁরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়নের বাতাবরণ তৈরি করে মানুষের পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন তা সমগ্র দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আগামী পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে দুই হাত ভরে আশীর্বাদ করার বার্তা রাখেন উপস্থিত নেতৃত্বরা। সংহতি দিবসের মঞ্চে বিভিন্ন ধর্মীয় গুরুদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস,মলয় ঘটক, মোঃ গোলাম রব্বানী, বিধানসভায় সরকার পক্ষের উপমুখ্য সচেতক তাপস রায়, তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুনাল ঘোষ, সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, রাজ্য সংখ্যালঘু্ সেলের সভাপতি তথা বিধায়ক হাজী নুরুল ইসলাম, বিধায়ক মদন মিত্র, বিধায়ক রহিমা মন্ডল, বিধায়ক কাজি আব্দুর রহিম, তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভানেত্রী সায়নী ঘোষ, বিধায়ক নির্মল মাঝি, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি একেএম ফারহাদ, ছাত্র নেতা তৃণাঙ্কর ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
