মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: বর্ধমান শহরের ছোটনীলপুর মধ্যপাড়ায় বেচু শেখ-পঞ্চু শেখ মসজিদ “অবস্থান করছে। এই মসজিদ স্থাপিত হয়েছিল ১২৩৭ বঙ্গাব্দে অর্থাৎ ইংরেজি ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে। এই মসজিদের পুরাতন তোরণে সিমেন্টের খোদাই করা আছে, যা বর্তমানে অস্পষ্ট হয়ে গেছে।১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে এই মসজিদ স্থাপিত হয়েছিল। আজ থেকে ১৯২ বছর আগে এলাকার দুই গন্যমান্য ব্যক্তিত্বের অর্থাৎ “বেচু শেখ ও পঞ্চু শেখ “মহাশয়ের সম্পত্তির ওপর। ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে ২৬ জানুয়ারি বর্ধমান জেলার বন্তির গ্রামের জমিদার “আব্দুল হাকিম সাহেব “বেচু সেখ - পঞ্চু শেখ মসজিদ “নির্বাহের জন্য ৩ বিঘা ১০কাঠা সম্পত্তি দান করেন । ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে “আবদুল হাকিম” সাহেব আন রেজিস্টার দলিল এ ওসিয়ত অর্থাৎ শর্ত করে নীলপুর এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব জোহাদ রহিম, রহিম বক্স, আব্দুল মান্নান এবং জনৈক ব্যক্তিকে দায়িত্ব অর্পণ করে। ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ গভমেন্টের আইন অনুযায়ী ওয়াকফ বোর্ডের অন্তর্গত সম্পত্তিগুলিকে একই ছাতার তলায় নিয়ে আসেন। ওসিয়ত অনুযায়ী “জোহাদ রহিম “ ব্যতীত বাকি তিনজন মৃত্যুবরণ করলে জোহাদ রহিম শর্ত অনুযায়ী একক প্রচেষ্টায় উক্ত মসজিদ পরিচালনা করতেন। কিন্তু ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে, তারও মৃত্যু হয় ।১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে “জোয়াদ রহিমের” পুত্র “কোরবান আলী”” রমজান আলী “লুৎফর রহমান” নতুন করে মাতোয়ালি মনোনীত হন। তাদের মৃত্যুর পর তাদের বংশধররা ওয়ারিশান সূত্রে মসজিদ দেখাশোনা করতেন । ২০২০-২১ খ্রিস্টাব্দে মসজিদের জরাজীর্ণ অবস্থা হয়ে গেলে এলাকাবাসী সাহায্য তুলে মসজিদটি নতুন করে সংস্কার করেন।দীর্ঘদিন ওয়াকফ বোর্ডে কোন মতো ওয়ালি না থাকায় ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে জোহাদ রহিম বংশের বংশধরদের নিয়ে পরিচালন কমিটি মাতওয়ালী গঠন হয়। যার মেয়াদ ২০২১ এ শেষ হয়েছে । নতুন কমিটি ওয়াকফ বোর্ড যত শীঘ্র সম্ভব ঘোষণা করবেন বলে ওয়াকফ চেয়ারম্যান জানালেন। ওয়াকফ বোর্ডের ই সি নাম্বার- ১২৩৪৬ এবং ১৩০৫৬। বহু সম্পত্তি বেহাত হয়ে গেছে বলে ওয়াকফ বোর্ড সূত্রে জানা যায়। ওয়াকফ এস্টেট এর নাম ‘আব্দুল হাকিম ওয়াকফ এস্টেট।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct