নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: পরীক্ষার পরে স্কুলে ভাঙচুর করেছিল ছাত্ররা। স্কুলের সম্পত্তি ভাঙচুর করার অভিযোগ তুলে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের ১০ জন ছাত্রের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া আটকে দিল।পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০০০ টাকা করে ওই অভিযুক্ত ছাত্রদের কাছ থেকে আদায় করার জন্য নোটিশ টাঙ্গালো স্কুল কর্তৃপক্ষ।এই টাকা দিতে না পারলে আগামী দিনে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ফর্ম ফিলাপ করতে পারবে না ছাত্ররা।অভিভাবকদের দাবি এই বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গার্জিয়ানদের কোনরুপ কিছু না জানিয়ে একচেটিয়া ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইভাবে একাদশ শ্রেণিতে ফর্ম পূরণ করতে দেওয়া হবে না এই শর্ত দিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে এবং কোনরুপ রশিদ দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে অভিভাবক মহল থেকে।
জানা গেছে হরিশ্চন্দ্রপুর দু’নম্বর ব্লক এলাকার ভালুকা অঞ্চলের প্রসিদ্ধ উচ্চ বিদ্যালয় রাইমোহন মোহিনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে বেশ কিছুদিন আগে পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলেরই বেশ কয়েকজন ছাত্র ক্লাসরুমের ফ্যান এবং টেবিল চেয়ার বেঞ্চ ভেঙে দেয়।আর এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে জানতে পারে এর পিছনে নির্দিষ্ট কয়েকজন ছাত্র রয়েছে। আর তারপরে স্কুল কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় দোষী ছাত্রদের কাছ থেকে ২০০০ টাকা করে জরিমানা নেওয়া হবে স্কুলের সম্পত্তি ক্ষতিপূরণ বাবদ। তারপরে স্কুল কর্তৃপক্ষ এই তালিকা প্রকাশ করে ছাত্রদের কাছ থেকে ২০০০ টাকা দাবি করে।তালিকায় মোট ১০ জন ছাত্রীর নাম রয়েছে। টাকা দিতে না পারলে আগামীতে একাদশ শ্রেণির ফর্ম ফিলাপ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ। এক অভিভাবক শম্ভু কর্মকার জানান স্কুলের ঘটনায় আমার ছেলের নাম ইচ্ছা করে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ওই ঘটনার পরে কোনরকম ভাবে অভিভাবকদেরকে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাইনি।এখন হঠাৎ করে ২০০০ টাকা দাবি করছে। আমি কোন রকমে ১৪০০ টাকা স্কুলে দিয়েছি। কিন্তু সেই টাকার কোন রশিদ দেওয়া হচ্ছে না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইমদাদুল হক জানিয়েছেন আমরা তদন্ত করে জানতে পেরেছি, ওই নির্দিষ্ট ১০ জন স্কুলের ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ছিল তাই আমরা এই আর্থিক জরিমানা করেছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct