মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: এই মুহূর্তে বর্ধমান শহরের সব চেয়ে বেশি ব্যক্তি নামাজ আদায় করেন তিন নম্বর ওয়ার্ডের রসিকপুর মসজিদে। ১৭৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রাচীন মসজিদে নামাজের সঙ্গে সঙ্গে চারটি মক্তব পরিচালিত করে। তাদের মধ্যে ছোটদের মক্তব ,বড়দের মক্তব এমনকি মহিলাদের মক্তব ও পরিচালনা করেন। রমজান মাসে রোজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় পাঁচশোর মত মানুষকে প্রতিদিন ইফতারির ব্যবস্থা থাকে এই মসজিদে। যে মসজিদের বিশেষ এক কমিটি কোন ব্যক্তি মারা গেলে মৃতের বাড়ির খরচা না করে চাঁদা তুলে মাইয়েতের খরচা বহন করে। মসজিদের মেসে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য কম খরচে মাত্র আটশো টাকা মাসে এবং ২৫ টাকায় খাবার, থাকার ও পড়াশুনার ব্যবস্থা করেছে। এইখানে পড়াশোনা করে বহু ছাত্র ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
বহুতল বিশিষ্ট এই মসজিদে প্রতি ওয়াক্ত নামাজে শয়ে শয়ে মুসুল্লিতে ভরে উঠে। জুম্মার সময় নামাজে জায়গা হয় না। এত বেশি সংখ্যক মুসল্লি বর্ধমানের আর কোন মসজিদে দেখা যায় না। এই মসজিদ থেকে দ্বীনের সমস্ত ধরনের কাজ পরিচালনা করা হয়। নামাজের সঙ্গে গাস্ত , তালিম ও তিনদিনের জামাত এই মসজিদ থেকে বের করা হয়। আধুনিক কার্পেট বিছানো এই মসজিদে প্রতিদিনই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ আঞ্জাম দিয়ে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা মহিমউদ্দিন বলেন তার জানা মতে এই মুহূর্তে বর্ধমানে সবচেয়ে বড় ও বেশি মুসুল্লির মসজিদ রসিকপুর মসজিদ। মসজিদের সম্পাদক আনোয়ার সাহেব ( ভানু) ও মসজিদ কমিটি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে মসজিদের উন্নয়ন আগিয়ে নিয়ে চলেছেন। বহুমুখী চিন্তাধারা নিয়ে এই মসজিদ বর্ধমানকে পথ দেখাচ্ছে। রোজার মাসে তারাবি এবং রোজাদারদের ভিড় একেবারে উৎসবে পরিণত হয়। রোজার মাসে বাইরে থেকে মাদ্রাসার আদায়ে আসা আলেম উলামাদের থাকা খাওয়ার ব্যাবস্থা চোখে পড়ার মতো। মসজিদের যোগ্য ইমাম হাফেজ, মওলানা, আদিব হানিফ কাসেমি নাদভী এলাকার মানুষের কাছে খুবই সম্মানিত এবং শ্রদ্ধার পাত্র। তাবলীগের জিম্মাদার সেখ সামসুদ্দিনের নেতৃত্বে দ্বীন থেকে দূরে থাকা যুবকদের দ্বিনের মেহনতে সামিল করে এলাকার পরিবেশ প্রভুত উন্নতি সাধন করেছেন। সামসুদ্দিন সাহেব বলেন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তারা এই কাজ করে থাকেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct