সন্তান প্রসব যন্ত্রণাতেও বিচলিত হননি তিনি। সময়টা মনে করেজো ক্যামেরন বলেন, 'আমি বুঝতাম, আমার শরীরে কিছু একটা বদল আসছে, কিন্তু ব্যথা হতো না ।' পরে হবু মায়েদের সাহস দিয়ে বেড়াতেন, ভয় পেও না। সবাই যেমন বলে, অত কিছু না। মা হওয়ার পর চল্লিশ বছর কেটে গিয়েছে। জো ক্যমেরন। বয়স ৭১। সদ্য গবেষকরা জানতে পেরেছেন জো এর শরীরটাই অন্যরকম। আর পাঁচজনের থেকে আলাদা। ব্যথার বোধটাই চিরকাল কম ছিল তার মধ্যে। ‘ব্রিটিশ জার্নাল অব অ্যানাস্থেশিয়া’তে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, জো-এর শরীরে একধরণের পরিব্যক্তি বা মিউটেশন হয়ে গিয়েছে। এর আগে এই জিনকে চিহ্নিত করা যায়নি। শরীরে সেই জিন চলে আসার ফলে সারা জীবনে কোনও রকম ব্যথাই অনুভব করেননি জো ক্যামেরন। এবার চিকিৎসক এবং গবেষকরা মানবদেহের ব্যথা নিরাময়ের কাজে ব্যবহার করতে চাইছেন জো এর শরীরের এই জিনকে। ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের গবেষক জন উড বললেন, আমরা এ ধরণের কেস আগে কখনও দেখিনি। গত ১০০ বছর ধরে জিনগত পরিব্যক্তি নিয়ে নানা রকম কেস নথিভুক্ত হয়েছে, কিন্তু এটা হয়নি। বছর পাঁচেক আগে প্রথম চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন, ক্যামেরনের শরীরে এমন কিছু আছে, যা আর কারোর নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct