নাজমা আহমেদ, আপনজন: ‘সুখী দম্পতি’ শব্দটির মধ্যে একজন নারী ও একজন পুরুষের উপস্থিতি রয়েছে। সুতরাং একজনের পক্ষে সংসারটা সুন্দর করে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। গুণ আর ইচ্ছা থাকতে হবে দুজনেরই। সব মানুষ সমান হবেন এমন নয়। কিন্তু সবসময় আপনি ডানে চলতে চাইলেন আর সঙ্গী বামে দিকে তাহলে কিন্তু সমস্যা। কিছু ক্ষেত্রে যেন মিল অবশ্যই থাকে। একেবারেই বিপরীত হলে সেই সম্পর্ক কিন্তু টিকিয়ে রাখা চাপ। এক্ষেত্রে সব সময় একজন মানিয়ে চলবেন তা সম্ভব নয়। বিশেষত দীর্ঘদিন এমন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় না।
কাউকে বদলে ফেলার চেষ্টা করবেন না। অনেকের মধ্যেই এই মানসিকতা থাকে যে বিয়ের পর সঙ্গীকে একদম পরিবর্তন করে দেবেন। যা ঠিক নয়। যে মানুষ যেমন তাকে তেমনই থাকতে দেওয়া উচিত। হয়তো তার কোনো খারাপ অভ্যাস থাকলে তা বদলে ফেলার অনুরোধ করতে পারেন। এছাড়াও সব মানুষের নিজস্ব স্বাধীনতা রয়েছে। সেখানে হস্তক্ষেপ করবেন না। দুজনকেই মানিয়ে চলতে হবে। সম্পর্কে ছেলে এবং মেয়ে উভয়কেই কিন্তু মানিয়ে চলতে হবে। বিয়ের পর মেয়েরাই শুধু শ্বশুরবাড়ি যাবে, সব মানিয়ে নিয়ে সংসার করবে এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন। ভুল করলে সরি বলুন। একে অন্যকে বুঝে চলুন। সেই সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে তবেই কিন্তু সম্পর্ক সুন্দর থাকবে। ভুল থেকেই শিক্ষা গ্রহণ করুন। মানুষ মাত্রই ভুল করে। আর সেই ভুল থেকেই আমরা সকলে শিক্ষা নিই। তাই প্রথম থেকেই কোনো মানুষ পারফেক্ট হবেন এমন ধরে নেবেন না। ভুল হলে একে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে দেবেন না। বরং একে অন্যকে সময় দিন। প্রয়োজনে নিজেদের মতো করে স্পেস দিন। স্বামী-স্ত্রীমানেই যে সব ব্যাপারে একসঙ্গে থাকতে হবে এমন কিন্তু নয়। সর্বোপরি বোঝাপড়াটাই হল আসল। প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত রয়েছে। আর তাই যে কোনো বিষয় নিয়ে দুজনেই আলোচনা করুন। বিয়ের পর যেকোনো সিদ্ধান্তই যৌথ ভাবে নেবেন। আমি থেকে আমরা হয়ে উঠতে পারলে সম্পর্কের জন্যই ভালো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct