রঙ্গিলা খাতুন, বহরমপুর: তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় বহরমপুরে এলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। শুক্রবার দুপুরে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে উপস্থিত হলেন তেহট্ট তৃণমূল সংসদ মহুয়া মৈত্র। তাকে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের সদস্যরা। এই খুনের ঘটনার পিছনে যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করেছেন মৃতের স্ত্রী। সিআইডি তদন্তের দাবি করেছেন তারা।
সাংসদ মহুয়া মৈত্র জানান, ‘’প্রধানের স্বামী মতিরুল ইসলাম ভালো সংগঠক ছিলেন। বোমা ও গুলি করে খুন করা হয়েছে। তার সিকিউরিটির সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’’
উল্লেখ্য গতকাল বৃহস্পতিবার নওদার শিবনগরে এলাকায় সন্ধ্যার সময় মতিরুল ইসলাম এর উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। প্রথমে তাকে বোমা ছোড়ে মটর বাইক ফেলে শিবনগরের দিকে পালানোর চেষ্টা করেন মতিরুল সেই সময় দুষ্কৃতীরা একাধিক গুলি চালায় তাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা মতিরুল কে উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় মতিরুলের।
এই নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথা উঠে আসে বিরোধী দলের কাছ থেকে। আজ বহরমপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। দুষ্কৃতীরা যখন মতিরুলকে আক্রমণ করে সে সময় দেহরক্ষী পালিয়ে যায় এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে মহুয়া মৈত্র বলেন দেহরক্ষি তো মানুষ, তিনি নিজে বলেন আমি কোনদিন দেহরক্ষী নেইনি সুতরাং দেহরক্ষী কি করে আমি জানি না। তিনি বলেন আমি যা জানলাম যখন দুষ্কৃতীরা বন ছেড়ে তখন দেহরক্ষী একদিকে আর মতিরুল আরেক দিকে পালায় তখন ওরা পিছন দিক থেকে মতিরুলকে গুলি করে বলে তিনি জানান। সাংসদ মহুয়া মৈত্র মিডিয়াদের বলেন পুলিশকে সময় দিন অবশ্যই আসামী ধরা পড়বে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct