রঙ্গিলা খাতুন, বহরমপুর: “আদালতের মামলা লড়তে-লড়তে সরকারের সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে।” বিধানসভায় মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার বহরমপুরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী সাংবাদিক বৈঠক করে তোপ দেগে বলেন, চোরদের বাঁচাতে দিদির তহবিল ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে এটা দিদি নিজেই বলেছেন। তিনি বলেন দূর্নীতিকে থামাতে একবার হাইকোর্ট একবার সুপ্রিম কোর্ট যেতে হচ্ছে দিদির সরকারকে। এক্ষেত্রে প্রথম মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হল, দ্বিতীয় দক্ষ লোকদের পরিবর্তে অদক্ষ লোকদের চাকরি দেয়া হল, তৃতীয় এই চোরদের রক্ষা করতে উকিলের খরচ দেবে সরকার। এই সমস্ত অর্থটাই যাবে মানুষের পকেট কেটে। একদিকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। যাদের দ্বারা মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে সেই লুটেরাদের বাঁচাতে মানুষের টাকা খরচ করে তাকে বাঁচাবার জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছেন দিদির সরকার।
এই সরকার চোর, বীরদের বাঁচাবার জন্য বড় বড় ব্যারিস্টার নিয়োগ করছেন, এই চোর বাঁচানোর ব্যারিস্টার নিয়োগ করতে দিদির কিনা টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। অধীর বলেন দিদি আপনাকে তো কেউ দিব্যি দেয়নি। চোর বাঁচাতে লুটেরা বাঁচাতে আপনি বড় বড় ব্যারিস্টার নিয়োগ করে সরকারি তহবিল ফাঁকা করতে আপনাকে কে মাথার দিব্যি দিয়েছে? বাংলার মানুষ তা আপনাকে বলেনি, বললেন অধীর। তিনি আরো বলেন, দিদির বীরভাই গরিব মানুষ লটারি পেয়েছে। তার কাছ থেকে ধমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে লটারি টিকিট নিজের করে নিয়েছে কালো টাকাকে সাদা করার জন্য দিদির ভাই অনুব্রত মন্ডল। এরকম কত বীর ভাই দিদির দলে আছে সব আস্তে আস্তে জনগণ দেখতে পাবে বললেন অধীর চৌধুরী। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় উপস্থিত হন। অধিবেশনে রেশন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরাসরি তোপ দাগেন বিরোধীদের। বলেন, ‘যখনই রাজ্য কোনও নতুন পদে নিয়োগের কথা ভাবছে, তখনই কেউ না কেউ আদালতে চলে যাচ্ছে অভিযোগ নিয়ে। আর আদালতও স্থগিতাদেশ দিচ্ছে।’ এখানেই শেষ নয়, আরও একধাপ এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘আদালতের মামলা লড়তে-লড়তে সরকারের সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, ‘আমি বিধানসভা মারফত আদালতকে অনুরোধ করব যাতে মানুষের সুবিধে হয়। বিচারের বাণী যেন নীরবে-নিভৃতে না কাঁদে।’এরপর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct