সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: সামনেই আসন্ন পশ্চিমবঙ্গের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট,তার আগেই ফের কাঠগড়ায় শাষক দল, এইবার কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ইস্যু নিয়ে নয়, ইস্যু নির্মান প্রকল্প। বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস বিধানসভার অন্তর্গত লাউগ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ ছোটপাগলা গ্রাম।একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখে এই গ্রামে তৈরি হয়েছিল পাকা পোক্ত একটি সেতু, কিন্তু কোনো অজানা কারনে নির্মাণের বছরই ভেঙে পড়ে সেই সেতুটি।সেতুর ভাঙনের জেরে চরম বিপাকে একাধিক গ্রাম। লাউগ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ চুয়াডাঙ্গা,মঙ্গলপুর,লক্ষণহাটি,মধুবন,মহামায়া কলোনি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের পারাপার করার জন্য একমাত্র সেতু হল এটি।২০১৭ সালে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে পাকাপোক্ত একটা নির্মাণ হয় এই স্থায়ী সেতুটি, উদ্বোধনও করা হয় ঘটা করে।কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় নির্মাণের বছরে ফাটল ধরে যায় সেতুটিতে এখন পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে সেতুটি। বাসিন্দাদের তরফ থেকে একাধিকবার একাধিক স্তরে অভিযোগ জানিও কিন্তু কোন সূরাহা মেলেনি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামবাসীদের তত্ত্বাবধানে এই সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে হয়তো এই বিপত্তি ঘটতো না। এই ক্ষেত্রে গ্রামবাসীরা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং কাটমানির তত্ত্বকে সামনে এনেছেন,তারা জানাচ্ছেন নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করতে গিয়ে সেতুর এই পরিণতি হয়েছে। ইতিপূর্বেই এই সেতু দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে অনেক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকতে হয়েছে গ্রামবাসীদের। স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে কৃষক সবাইকেই পারাপার করতে হয় এই বিপদজনক ভাবে ভেঙে যাওয়া সেতুর ওপর দিয়ে।এমনকি স্কুলের সময় বা মানুষের কাজের সময় ৫ কিলোমিটার ঘুরপথেরও সাহায্যে নিতে হয়।
এর সূরাহা যে কি, তা কারোই জানা নেই। বছর ঘুরলেই পশ্চিমবাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বাজবে,তার আগে এই ধরনের বিপত্তি কতটা প্রভাব পড়বে পঞ্চায়েত ভোটে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন চিহ্ন? তবে এ বিষয়ে শাসক দলের পক্ষ থেকে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জানান, পুরো বিষয়টি তাদের গোচরে আছে,তারা বিষয়টি সম্পর্কে সবই জানে উপরমহলে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে শিগগিরি একটা সমাধান হবে বলেই জানান। অপরদিকে বিরোধী শিবিরের স্থানীয় এক বিজেপি নেতা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং কাটমানির তত্ত্বকেই সামনে দাঁড় করিয়েছে।তবে সেতু ইস্যুতে রাজনৈতিক চাপানোতর যায় হোক না কেন আদেও কি এর কোন স্থায়ী সমাধান হবে, নাকি সমস্যা সমস্যা হয়েই রয়ে যাবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct