মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে ই রয়েছে ৫০০ বছরের প্রাচীন একটি মসজিদ। বৈকুণ্ঠ পুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এর অন্তর্ভুক্ত চাঁদসোনা গ্রামে যার অবস্থান। মসজিদের গঠনশৈলী দেখে সহজেই অনুমান করা যায় এটি মুঘল আমলের তৈরি।পারস্যের নির্মাণ রীতি অনুসরণ করে তৈরি।একটি গম্বুজ চারটি মিনার বিশিষ্ট মসজিদ আজও পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। মসজিদের পাশেই ডি ভি সির ক্যানেলে। আরো স্পষ্ট করে বললে পমরাহ ও হাটসিমুল গ্রামের সংযোগ স্থলে এর অবস্থান। ১৯৭৮ ও ২০০০ সালের বন্যার জলে এলাকা প্লাবিত হয়ে মসজিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়।সেই সঙ্গে প্রতি বছর বর্ষার জল ঢুকে ক্ষতি হচ্ছে।হেরিটেজ দপ্তর কোনো উদ্যোগ নেননি এর রক্ষণাবেক্ষণে। ১৯৫২ থেকে ১৯৬৪ ডিভিসির সেচ ক্যানেল খননের সময় এই অঞ্চলের জনমানব শুন্য করা হয়।শুধু রয়ে যায় মসজিদটি।বর্তমানে এই গ্রামে কোনো জনবসতি নেই।নেই কোনো মুসলিম।চাঁদ সোনা গ্রাম একসময়ে বহু মুসলিম বর্ধিষ্ণু পরিবারের বসবাস ছিল।সম্ভবত কোনো পীর সাহেবের নাম ছিল চাঁদ শাহ, তা থেকেই গ্রামের নাম হয়েছে চাঁদসোনা।বর্তমানে মসজিদটি ওয়াকফ বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত। একসময় প্রচুর সম্পত্তি ছিল। যা আজ বেহাত হয়ে গেছে।