এহসানুল হক, বসিরহাট, আপনজন: প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের সুব্রত রপ্তান নামে এক যুবক পড়াশুনা করে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। নামকরা টাকি গভমেন্ট কলেজ থেকে বিএ পাস করেছিল সে। পড়াশুনা করতে করতে প্রচুর টাকা ঋণ হয়ে গিয়েছিল বাবার। বাবা ঋণ মেটানোর জন্য তামিলনাড়ু তে চলে গিয়েছে। সেখানে গিয়ে শ্রমিকের কাজ করেও পরিশোধ হচ্ছিলো না ঋণ। বাড়ছিল পাওনাদারদের চাপ। পাওনাদারদের চাপে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দূরে সরিয়ে বেশি টাকা উপার্জনের জন্য পাড়ি দেয় সুদূর মিজোরাম। পাথর খাদানে কাজে গিয়ে পাথর ধ্বস নেমে মৃত্যু হয় যুবকের।
এই ঘটনার পরে তার বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সোমবার মিজোরামে সুব্রত রপ্তান নামে ওই যুবক মারা যাওয়ার পর জ বুধবার কফিনবন্দী হয়ে নিথর দেহ বাড়িতে আসন। দমদম বিমানবন্দর থেকে সেই মৃতদেহ আনতে রওনা দেন সন্দেশখালীর বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। বেশ কয়েকটি নদী পেরিয়ে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যায় মৃতদেহ ঢোকে সন্দেশখালীর ঢোলখালি এলাকায় ওই যুবকের বাড়িতে। মৃতদেহ দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকেরা। মৃত পরিবারের পাশে সমবেদনা জানাতে এদিন ওই মৃত যুবকের বাড়িতে যান সন্দেশখালি বিশিষ্ট্য তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান, জেলা পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী, সন্দেশখালীর বিডিও অর্ণব মুখার্জি সহ আরো অনেকে। এদিন তারা মৃত পরিবারের পাশে থেকে সহানুভূতি জানানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় দুই লক্ষ্য টাকার চেক। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান বলেন, ‘ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো বিডিও দুই লক্ষ্য টাকার চেক তুলে দিয়েছেন, আমরা দলীয় ভাবে ওদের সাহায্য করেছি, ওদের যে কোন অসুবিধায় আমি পাশে থাকবো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct