রঙ্গিলা খাতুন, বড়ঞা, আপনজন: বাবও আছে, মাও আছে অথচ শিশুর কাছে কেউ নেই! আন্তর্জাতিক শিশু দিবসে শিশুদের নিয়ে সবাই যখন মাতামাতি ঠিক এই সময়ে দেখা গেল অসহায় শিশুর কণ্যার করুন চিত্র। সম্প্রতি বড়ঞা থানার অন্তর্গত খোরজনা বাজারে একটি আড়াই বছরের শিশুকে অঝোরে কান্নাকাটি করতে দেখে এলাকার মানুষ। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে বড়ঞা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার সন্দীপ সেন বাচ্চাটি উদ্ধার করে। বড়ঞা মোনাই কান্দারা গ্রামে মেয়েটির নানা অর্থাৎ ঠাকুরদা সাদ্দাম সেখের কাছে রেখে আসা হয়েছিল শুধু তাই নয় আর্থিক ভাবে কিছু সাহায্যও করেছিলেন পুলিশ অফিসার সন্দীপ সেন এবং দেবব্রত দে। অবশ্যই পুলিশ প্রশাসনের মানবিক চিত্র ফুটে উঠেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগিয়েছে মেয়েটির নাম সাবেরা খাতুন, বয়স মাত্র ২ বছর ৬ মাস। গত চার বছর আগে সাবেরা খাতুনের মা গোলবানুর বিয়ে হয়েছিল বড়ঞা থানার অন্তর্গত ভবানী নগর গ্রামের বাসিন্দা সাবির শেখ ওরফে কালোর সঙ্গে। তাদের একমাত্র কন্যা সন্তান সাবেরা খাতুন। মাত্র আড়াই বছরের শিশু কন্যাকে পথে ফেলে চলে গিয়েছে মা বাবা দুজনেই। যদিও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় নানু সাহাদাতের বাড়িতে বর্তমানে রয়েছে ঠিকিই কিন্তু সংসার চালাবে কে? পড়াশোনাই বা করাবে কে? সাবেরা খাতুনের নানা সাহাদাত সেখ বলেন “ছোট্ট একটা চালা বাড়ি, ধার করে কোনো রকমে সংসার চলে, আমি ছাড়া সংসারে আর কেউ নেই, ওকে দেখবে কে? তাই প্রশাসনের কাছে দাবি রাখছি, আমার নাতিকে যাতে করে কোনো আশ্রমে রাখার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।”বাবা মা তো দুজনেই বর্তমানে জীবিতি তাহলে নাতনীকে আশ্রমে কেন রাখতে চাইছেন এর উত্তরে নানা সাহাদাত বলেন “ মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর থেকে জামাই কালু টাকার জন্য মারধর করত, আমার যা ছিল সব বেঁচে জামাইকে দিয়েছি আর কিছুই দেবার নেই। মেয়ে অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে কোথায় পালিয়ে গেছে, ওর বাবা এবং ওদের পরিবার আমার নাতনী টিকে দেখতে পারে না। “ এখন শিশুটির ভবিষ্যৎ পড়াশোনা, প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেবে?
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct