নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: তৃণমূল সরকার মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে দিতে চাইছে। তাই ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের অন্ধকারে রেখে সব রকমের সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখেছে।সরকার দ্বিচারিতা করছে মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলির সঙ্গে।মিড ডে মিল,সবুজ সাথী,কন্যাশ্রী ও স্কলারশিপ মাদ্রাসায় চালুর দাবিতে বুধবার মালদা জেলা রেকগনাইজড আন এ্যাডেড মাদ্রাসা শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়া র নিকট চার দফা দাবি নিয়ে ডেপুটেশন প্রদান করেন। মাদ্রাসা জেলা কমিটির সভাপতি মহম্মদ ফারমান আলি জানান,মালদা জেলায় দশটি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।প্রায় তিন হাজারের বেশি ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা করছে।তৃণমূল সরকার রাজ্য ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে ১০ হাজার নতুন মাদ্রাসা অনুমোদন দেওয়ার আশ্বাস দিলেও ২০১৩ সালে সারা রাজ্যে মাত্র ২৩৫ টি মাদ্রাসা অনুমোদন দিয়েছে।প্রতিটি মাদ্রাসায় দশ জন করে শিক্ষকের সাম্মানিক ভাতা দিয়ে থাকলেও শিক্ষকদের সরকারি অনুমোদন দেইনি।আবার দুই মাস ধরে ভাতা বন্ধ রেখেছে। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের হুলাসপুর মর্ডান ইন্ডিয়া সিনিয়ার মাদ্রাসার ভার প্রাপ্ত শিক্ষক কামারুজ্জামান (তুহিন) জানান, মাদ্রাসায় শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে বই দেওয়া হয়।রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা।সরকারি রকম সুযোগ-সুবিধা না পাওয়াই অনেক ছাত্র-ছাত্রী মাদ্রাসায় আসতে চাইছে না।স্কুলছুট বাচ্চাদের মাদ্রাসায় নিয়ে এসে পড়ানোর ব্যবস্থা করলেও কিছুদিন পর তারাও মাদ্রাসা ছেড়ে চলে যাচ্ছে।মাদ্রাসায় স্নাতক শিক্ষকদের ৬৫০০,স্নাতকোত্তর শিক্ষকদের ১২০০০ ও প্রধান শিক্ষকের ১৪০০০ সাম্মানিক ভাতা দিয়ে থাকলেও প্রাইমারি স্তরের শিক্ষকদের এখনো পর্যন্ত কোনো ভাতা চালু করেননি সরকার।মিড ডে মিল সহ বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার দাবিতে এই ডেপুটেশন। জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের পোশাক দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর আওতার মধ্যে রয়েছে।বাকি দাবিগুলি রাজ্য সরকারকে মেইল মারফতে জানিয়ে দেবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct