আপনজন ডেস্ক: যুদ্ধে বাস্তচ্যুত সিরিয়ানদের আশ্রয় নিশ্চিত করবে কানাডার একটি মুসলিম দাতব্য সংস্থা। তারা এসব মানুষের জন্য একটি গ্রাম তৈরি করে দিতে চায়, যেখানে থাকবে ৫০০ বাড়ি, একটি হাসপাতাল, মসজিদ ও স্কুল। এ জন্য খরচ ধরা হয়েছে কমপক্ষে ১৭ লাখ ডলার। সেখানে থাকবে তাদের সব কিছু। একটি আধুনিক জীবনের জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই থাকবে সেখানে। এ জন্য তুরস্কের অনলাইন আনাদোলু একে ‘হেভেন’ বা স্বর্গ হিসেবে অভিহিত করেছে। হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনালের সংগৃহীত তহবিল নিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় হোপ ভিলেজ প্রজেক্ট। বাস্তুচ্যুত সিরিয়ানদের স্থায়ী আশ্রয় নিশ্চিত করতে আল বাব অথবা আফরিন এলাকায় উচ্চাভিলাষী এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায় তারা। দাতব্য সংস্থাটির মতে, যখন এই বসতি নির্মাণ শেষ হবে তখন সেখানে বসবাস করতে পারবেন ৩৫০০ মানুষ। প্রতিটি পরিবারকে দেয়া হবে যে বাড়ি তাতে থাকবে দুটি রুম, একটি রান্নাঘর, একটি বাথরুম এবং লিভিং রুম।
থাকবে পরিষ্কার পানি ও বিদ্যুৎ। এই গ্রামটি আশ্রয়হীন, দারিদ্র্যপীড়িত সিরিয়ানদের আশ্রয়ের চেয়েও বেশি হবে। হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ১৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার ব্যয় হবে ৫০০ বাড়ি নির্মাণে। ১২ লাখ ৫০ হাজার ডলারে নির্মাণ করা হবে একটি মসজিদ, স্কুল, বহুমাত্রিক পার্ক, ফুটবল খেলার মাঠ এবং মার্কেটপ্লেস। সিরিয়ায় যেসব মানুষ, পরিবার নিজেদের আশ্রয়হীন মনে করছেন তাদের মধ্যে এই গ্রাম স্থিতিশীলতা, মর্যাদা এবং নতুন একটি বাড়ির অনুভূতি সৃষ্টি করবে। তারা নিজেদের আর অস্থিতিশীল হিসেবে মনে করবেন না। প্রতিটি স্কুলে এক হাজার শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদানের সক্ষমতা থাকবে। সংগঠনটি আরও বলেছে, প্রতিটি স্কুলে থাকবে ১৬টি শ্রেণিকক্ষ, ৬টি ওয়াসরুম (৩টি ছেলেদের এবং ৩টি মেয়েদের), থাকবে প্রশাসনিক রুম, সৌর শক্তি। সৌরশক্তি স্কুলে সরবরাহ দেয়া হবে। সব স্কুলে থাকবে আসবাবপত্র এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৩৭০০ কানাডিয়ান ডলার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct