আপনজন ডেস্ক: হাতের আঙুল ফোটাতে মোটামুটি সবার বেশ মজাই লাগে। টুশ টুশ করে যে শব্দটা হয় সেটা শুনতেও ভালো লাগে। কথা বলতে বলতে, টিভি দেখতে দেখতে এ কাজ অনেকেই করে। হাতের আঙুল ফোটালে বাত হতে পারে―এমন বিশ্বাস অনেকে করে। এর পেছনে কি কোনো বৈজ্ঞানিক কারণ থাকতে পারে? আসলে শরীরের জয়েন্টগুলোতে থাকে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড। এতে থাকা নাইট্রোজেনের বুদবুদ থেকে আঙুল ফোটানোর উৎপন্ন শব্দ হয়। এ কথায়ই জানিয়েছেন নিউ জার্সির রকওয়ের রিউমাটোলজি বিশেষজ্ঞ ডক্টর জেসন লিবোভিটস। তিনি আরো বলেন, সাইনোভিয়াল তরল একটি প্রাকৃতিক পদার্থ, যা জয়েন্টগুলোকে লুব্রিকেট করতে সাহায্য করে। মূলত সাইনোভিয়াল তরল স্বাস্থ্যকর, এটি হাতের কার্টিলেজকে কোনো আঘাত থেকে রক্ষা করে। যখন আপনি আঙুল ফোটান তখন একটি চাপের সৃষ্টি হয়, ফলে ওই বুদবুদ তৈরি হয় এবং শব্দ হয়। একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন, একবার আঙুল ফোটানের পরে আর শব্দ হয় না। এর একটা জৈবিক কারণও আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি ওয়েক্সনার মেডিক্যাল সেন্টারের রিউমাটোলজিস্ট ডক্তার ইজিয়েগবে ইহিওরোবো বলেছেন, হাতের আঙুলের জয়েন্টের এই গহ্বরগুলো বা বুদবুদগুলো পুনরায় পূরণ করতে প্রায় ২০ মিনিট সময় লাগে। তাই আবার ফোটাতে সময় লাগে। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে হাতের আঙুল ফোটানের সাথে বাতের কোনো সম্পর্ক নেই। বছরের পর বছর গবেষণা করেও এর সাথে বাতের কোনা সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। ক্যালিফোর্নিয়ার একজন চিকিৎসক নিজের ওপরই এ বিষয়ক একটি পরীক্ষা করেন। তিনি সাধারণত নিজের একটি হাতের আঙুল ফোটাতেন। দীর্ঘদিন ওই আঙুল ফোটানোর কারণে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে কি না তা যাচাইয়ের জন্য তিনি এক্স-রে করেন। তবে কোনো সমস্যাই কিন্তু ধরা পড়েনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct