নিজসব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: মৃত্যুদন্ড বদলে গেল দশ বছরের কারাদণ্ডাদেশে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেবিস্ফোরণে সাজাপ্রাপ্ত লস্কর-ই-তৈবা এক জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড খারিজ করে দিল আদালত। গত ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরনোর সময়ে বনগাঁয় তাকে গ্রেফতার করেছিল। নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি শেখ আব্দুল নঈমের ফাঁসির সাজা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট এর ডিভিশন বেঞ্চ । গত ২০১৮ সালে বনগাঁ আদালত তাঁকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এর তরফে মৃত্যুদণ্ডের সেই রায় বাতিল করে দশ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হল নঈমের। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে এই রায় দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ফাঁসির সাজা ঘোষণার পর থেকেই তিহার জেলে ছিলেন নঈম। সেখান থেকেই কলকাতা হাইকোর্টে ফাঁসির সাজার পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিল নঈম। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলছিল, এতদিন স্থগিত ছিল রায়দান। সোমবার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে ফাঁসির সাজা খারিজ করল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। নঈমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মামলা চলে বনগাঁ মহকুমা আদালতে। ২০১৮ সালে সেখানে নঈমের ফাঁসির সাজা ঘোষণা হয় নিম্ন আদালতে। ফাঁসির সাজাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিলেন শেখ আব্দুল নঈম। মামলার শুরুতে নঈম কোনও আইনজীবী নেয়নি। নিজেই নিজের সওয়াল করেছে। সে সময়েই কথাবার্তা প্রমাণ করে দেয়, সে যথেষ্ট শিক্ষিত। কলকাতা হাইকোর্টের তাবড় আইনজীবী থেকে বিচারপতি সকলেই নঈমের ইংরেজিতে করা আইনি সওয়ালের রীতিমতো প্রশংসা করতেন বলে জানা গেছে । শেষমেশ সোমবার নইম সহ সাজাপ্রাপ্ত ৪ জনেরই মৃত্যুদণ্ড খারিজ করা হয়েছে । গত ২০০৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরনোর সময়ে বনগাঁয় গ্রেফতার হয় নইম সহ চার জন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct