মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: ৫০০ বছরের বেশি পুরাতন মসজিদ অবজ্ঞায় অবহেলায় নষ্ট হতে চলেছে। বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর যেখানে ঝা চকচকে রাস্তা উন্নত বাতিস্তম্ভ ঠিক তার পাশেই খরগেশ্বর তলা বা পীরতলা এলাকায় প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন মসজিদ খসে পড়ছে ইঁট চুনসুরকি ঢেকে গেছে আগাছা জঙ্গলে। ১০ ফুট বাই দশ ফুট মসজিদ যেটা রাজ্যে আর কোথায় দেখা যায় না । পাশে একটা জঙ্গলে পরিপূর্ন ঈদগাহ তলা আছে । সম্ভবত রাজ্যে বা দেশে এটাই সবচেয়ে ছোট মসজিদ। বর্তমানে এখানে কোন মুসলিম বসবাস করে না। বর্ধমান শহরের এই জায়গায় এক সময় মুসলিম জনবসতি ভরে থাকতো গমগম করত। দেশভাগের পর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে সমস্ত মুসলিম জনপদকে পাড়ি দিতে হয়েছিল অজ্ঞাত স্থানে। শুধু খড়গেশ্বর তলা নাই বর্ধমানের অলিতে গলিতে এই রকম প্রাচীন মসজিদের দেখা মেলে। বর্ধমান শহরের এবং শহরের আশপাশে ব্যাপক সংখ্যক মুসলিম থাকলেও মসজিদগুলো সংস্কারের দিকে সেভাবে কারো ভুক্ষেপ বা নজরদারি নেই। শুধুমাত্র মুসলিমরা রাজনৈতিক মারামারিতে ব্যস্ত। ওয়াকফ বোর্ড বলে একটা ডিপার্টমেন্ট আছে সেটা খাই না মাখে কেউ জানেনা। বর্ধমানের শহর এবং শহরতলিতে সমস্ত ওয়াকফ প্রপার্টি আস্তে আস্তে দখল হয়ে যাচ্ছে যার মূল্য কয়েকশো কোটির উপর । বর্ধমান শহরের কাঞ্চন নগর ,মিঠাপুকুর,টিকরহাট ,নীলপুর ,পুলিশ লাইনের আশপাশ একটি বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়ামের পাশে দামি সম্পত্তি আসতে আসতে বেদখল হয়ে যাচ্ছে । বর্ধমান শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মনোয়ার সাহেব দাবি করেছেন অবিলম্বে ওয়াকফ বোর্ড বা হেরিটেজ সংস্থা এই প্রাচীন মসজিদ গুলোর সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুক না হলে কালের গহবরে সমস্ত কিছু বিলীন হয়ে যাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct