আপনজন ডেস্ক: বিলকিস বানুর ধর্ষকদের কথিত ভালো আচরণের জন্য গুজরাত সরকার তাদের যাবজ্জীবন সাজা তেকে মুক্তি দিয়েছিল। সেই সময় বিজেপি নেতা তথা গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী চন্দ্রসিংহ রাউলজি এই সকল মুক্তিপ্রাপ্ত ধর্ষকদের ‘সংস্কৃতি ব্রাহ্মণ’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। সেই চন্দ্রসিংহ রাউলজিকে এবার গুজরাতের গোধরা আসনে প্রার্থী করেছে বিজেপি। চন্দ্রসিংহ বিধানসভা আসন থেকে ছয়বার বিধায়ক। বিলকিস বানুর ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার জন্য গুজরাত সরকার যে সুপারিশ কমিটি করেছিল চন্দ্রসিংহ ছিলেন তার অন্যতম সদস্য। মূলত তারই সুপারিশ অনুযায়ী ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার সময় বিলকিস বানুকে ধর্ষণ এবং তার তিন বছরের মেয়ে সহ তার পরিবারের নয়জন সদস্যকে হত্যা করার জন্য যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে সর্বসম্মতভাবে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুজরাত সরকার। তাদের মুক্তির পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে চন্দ্রসিংহ বলেছিলেন, “তারা ব্রাহ্মণ ছিল এবং ব্রাহ্মণরা ভাল আচরণের জন্য পরিচিত। হয়তো তাদের শাস্তি দেওয়া কারও ভুল উদ্দেশ্য ছিল।” উল্লেখ্য, বিলকিস বানুর ধর্ষকরা ১৫ আগস্ট মুক্তি পায়, পরে তাদের মিষ্টি দিয়ে বরণ করা হয়। তবে শুধু চন্দ্রসিংহ নন, গুজরাত দাঙ্গায় নারদা পাটিয়ায় এক মুসলিম মহিলার পেট চিরে ভ্রূণ হত্যায় অভিযুক্ত মনোজের কন্যা পায়েল কুলকার্নিকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। পেশায় অ্যানাসথেটিস্ট পায়েল কুলকার্নি নারদা পাটিয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গুজরাত দাঙ্গার সময় এই কেন্দ্রের বিধায়ক চিলেন বর্তমান মন্ত্রী মায়া কোদনানি। নারদা পাটিয়া হত্যায় মায়া কোদনানি সহ ১৭ হাইকোর্টের রয়ে বেকসুর ঘোষণা হলেও অভিযুক্ত যে ১৫জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা ১৫ জনের মধ্যে অন্যতম হলেন পায়েল কুলকার্নির পিতা মনোজ। সুপ্রিম কোর্টের সেই সাজার বিরুদ্ধে মামলার এখনও নিষ্পত্তি না হলেও তিনি এখন জামিনে মুক্ত। পায়েল কুলকার্নির মা রেশমা অবশ্য আহমদাবাদের সাইজপুর বোঘা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct