নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, আপনজন: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় ওএমআর সিট নষ্ট করা মামলায় মামলাকারী কে পূর্ণ ইন্টারভিউ নিতে নির্দেশ দিলেন। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় ওএমআর শিট নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে।বৃহস্পতিবার এই নিয়ে মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন নির্দেশ দিলেন, -'আবেদনকারীর ইন্টারভিউ আবার নিতে হবে'।আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই ইন্টারভিউ নিতে হবে এবং তার ফলাফল নম্বর-সহ আদালতে জমা দিতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন এতে রাজি না হলে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।মামলাকারী পরীক্ষার্থী আব্দুল হামিদের অভিযোগ -' ২০২১ সালের ১৭ই জানুয়ারি মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের জন্য পরীক্ষা হয়। তিনি তথ্যের অধিকার আইনে উত্তরপত্র দেখতে চেয়েছিলেন। তাতে দেখেন উত্তরপত্রে কেউ অন্য রঙের কালির কলম চালিয়েছে'। যে কালো কলমে তিনি পরীক্ষা দিয়েছিলেন, সেটি আদালতে জমা দিয়েছিলেন।ওই উত্তরপত্রে অন্য কেউ উত্তর দিয়েছে বলে দাবি করেন পরীক্ষার্থী। তাঁর দাবি, -'তিনি সবই যথাযথ উত্তর দিয়েছিলেন'। এর পরেই উত্তর পত্রের ফরেনসিক পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি ফরেনসিক রিপোর্টে জানা যায়, - ' পরীক্ষার্থীর কালি বদলের অভিযোগ সত্যি। গত, বুধবার মাদ্রাসার দুর্নীতি সংক্রান্ত ওই মামলায় বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা পড়েছে। এর পরেই বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর পৃথকভাবে ইন্টারভিউ নেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি।রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, -' মামলাকারী পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিটে তাঁর নিজের পেন ছাড়াও অন্য পেনের কালির ব্যবহার রয়েছে'। এই রিপোর্ট দেখে বিচারপতি জানিয়েছেন, - ' ইন্টারভিউ নিতে হবে এই প্রার্থীকে। যোগ্য হলে চাকরি দিতে হবে মাদ্রাসা বোর্ডকে'। গোটা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ভিডিয়োও রেকর্ডিং করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।ইন্টারভিউ নিতে হবে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এবং তার ফলাফল নম্বর সহ আদালতে জমা দিতে হবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিন পর্ষদ আদালতকে জানিয়েছে, -'লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছেন আবেদনকারী। তার ইন্টারভিউ নিতে সমস্যা নেই'।মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার ওএমআর সিট বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দু'রকমের কালি ব্যবহার করা হয়েছে উত্তর পত্রে, এমনই দাবি করা হয়েছে। সিএফএল এই সংক্রান্ত যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তাতে এমনই কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সিএফএল-এর রিপোর্ট বলছে, -'উত্তর পত্রে প্রথমে যে পেন ব্যবহার করা হয়েছিল, পরবর্তীকালে অন্য বল পেন ব্যবহার করা হয়। প্রথমে কালো এবং পরে তার ওপর নীল কালির পেন দিয়ে ওভার রাইটিং করা হয়েছে' বলে দাবি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct