সালমান হেলাল, কৃষ্ণনগর, আপনজন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের শিক্ষাকেন্দ্র কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হল মাস কমিউনিকেশন এবং কনভারজেন্ট জার্নালিজমের ক্লাস। বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করেছে শিক্ষার্থীরা।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প হল কন্যাশ্রী প্রকল্প। এই প্রকল্প বিশ্বের দরবারে বাংলার নাম উজ্জ্বল করেছে। সেহেতু কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরাও একদিন নিজেদের যোগ্যতায় বিশ্বের দরবারে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলা তথা ভারতবর্ষের নাম উজ্জ্বল করবে।” এদিন শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ পরিদর্শন করেন রেজিস্ট্রার ড. দেব কুমার পাঁজা। কথা বলেন মাস কমিউনিকেশন এবং কনভারজেন্ট জার্নালিজমের শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও। তিনি বলেন, ‘কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় সবরকমভাবে শিক্ষার্থীদের পাশে আছে।’ তাঁর প্রত্যাশা, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রীরা উচ্চশিক্ষিত হয়ে বাংলার নাম বিশ্বের দরবারে আরও ভালোভাবে তুলে ধরবে। যদিও, রিপোর্টিং, এডিটিং, মোবাইল সাংবাদিকতা, ডেটা জার্নালিজমের পাশাপাশি অনলাইন সাংবাদিকতা গুরুত্ব সহকারে পড়ানো হচ্ছে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিভাগের এক অধ্যাপকের দাবি, ‘কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেয়েদেরকে সমাজের মূল স্রোতে তুলে আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সবরকমভাবে তাঁদের পাশে রয়েছে। প্রথমদিনের ক্লাস শেষে মুক্তা, অপর্ণা, মৌমিতাদের মতো ছাত্রীদের বক্তব্য, ‘অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় মাস কমিউনিকেশন এবং কনভারজেন্ট জার্নালিজম খুবই আকর্ষনীয়, যা তাঁদের শিক্ষার মানোন্নয়নে সাহায্য করবে।’ স্নাতকোত্তর স্তরে কনভারজেন্ট জার্নালিজম ডিগ্রি কোর্স রাজ্যে একমাত্র কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়েই চালু হয়েছে, যা রাজ্যে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সবমিলিয়ে, গ্রামবাংলার মেয়েদের কাছে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় যে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে তা বলাই বাহুল্য।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct