আপনজন ডেস্ক: প্রাথমিকে ৩,৯২৯ শূন্য পদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১১ নভেম্বর। তার আগেই সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছে তারা। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা নেওয়ার পর দু ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ওই টেট পরীক্ষার ফলাফরের ভিত্তিতে প্রথমে ২০১৬ সালে প্রায় ৪২ হাজার জনকে নিয়োগ করা হয়েছি। এরপর দ্বিতীয় দফায় নিয়োগ হয় ২০২০ সালে। তাতে নিয়োগ করা হয় ১৬,৬০০ জনকে। যদিও বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী দাবি তোলেন আরও প্রায় চার হাজার শূন্যপদ রয়েছে। সেই শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ বন্ধ রেখেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, এই অভিযোগ তুলে শূন্য পদে নিয়োগের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেই মামলায় দেখা যায় এখনও ৩,৯২৯টি শূন্য পদ রয়েছে। তখনই ওই শূন্য পদগুলিতে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মামলার চূড়ান্ত রায় বের হয়নি। তার আগেই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই আবেদন জানানো হয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের শূন্য পদে নিয়োগের নির্দেশকে ঠিক ভাবে নেয়নি। তবে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই মামলার ফলে নিয়োগ জটিলতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct